জরুরি পরিষেবা দিতে আমরা দায়বদ্ধ, খবরের সংকট যেন না হয়: মমতা ব্যানার্জী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তিনি রাজ্যের অভিভাবক। তাই লকডাউনে (lockdown) যাতে কেউ অভুক্ত না থাকে সেটা নিশ্চিত করতেই সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee)। করোনা সংক্রমণ কমাতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই সময় অনলাইন ডেলিভারিও বন্ধ করেছে একাধিক সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে বহু বৃদ্ধ-বৃদ্ধার দুর্গতির আশঙ্কা করে সহযোগিতার হাত বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, “বহু বাড়ি রয়েছে, যেখানে একা বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা থাকেন।

   

এমন অনেক নিম্নবিত্ত পরিবার রয়েছে, যাঁদের বাড়িতে হয়তো দুই-তিন দিনের বেশি চাল-ডালটুকুও মজুত নেই। এই ধরনের মানুষের যদি খাদ্য সঙ্কট হয় তাহলে প্রতিবেশীদের পুলিশ বা বিডিওকে (bidio) আপনারা খবর দিন।” বুধবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “যদি দেখেন কেউ এই অবস্থায় খেতে পাচ্ছে না, দয়া করে বিডিওকে খবর দিন। পুলিশকে (police) খবর দিন। একটু মানবিক হোন। পুলিশ ও বিডিও তাঁদের খাবার পৌঁছে দেবেন।”

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার জানিয়েছে, লকডাউন সত্ত্বেও খাদ্যদ্রব্যের বাজার খোলা থাকবে। কিন্তু অনেক জায়গায় আনাজ বিক্রিতে বাধাদানের অভিযোগ উঠছে। মোটবাহকদেরও বাজারে আনাজ নিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে অনেক জায়গায় জিনিসের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। উৎকণ্ঠা তৈরি হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

এমনিতেই সরকার বার বার জমায়েত না-করার আবেদন জানাচ্ছে। ছোঁয়া বাঁচাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে শান্ত ভাবে কেনাকাটা করার পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন (Administration)। কিন্তু পণ্যের ঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় কেনাকাটা করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি বদলাতেই পুলিশ-প্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

টানা লকডাউনে প্রান্তিক মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া রাজ্য সরকারগুলির কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার সারাক্ষণই রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছে। এদিনও দিল্লি থেকে একগুচ্ছ অ্যাডভাইজারি এসেছে নবান্নে। তারপরই সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। কলকাতা শহরে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটানো মানুষজনের উদ্দেশেও আবেদন জানান মমতা।

 

সম্পর্কিত খবর