বঙ্গে চলছে ক্যাব বিরোধী আন্দোলন, ভীত সন্ত্রস্ত সাধারণমানুষ,হিংস্রতা রুখতে রাষ্ট্রপতি শাসন!

 

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক : জ্বলছে রাজ্য, পুড়ছে একাধিক ট্রেন-বাস। অসহিষ্ণুতার জবাব দিতে সহিষ্ণুতার মন্ত্র পড়ছে সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে বিভিন্ন দিক রাজ্য প্রশাসনের কাছে কোন জবাব নেই নাকি তারা নীরব ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত!

সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল বা CAB-তে স্বাক্ষর করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তার ফলে বর্তমানে আইনে পরিণত হয়েছে CAB। আর তারপরই শুক্রবার থেকে আন্দোলনে আঁচে ফুঁসছে বাংলার একাধিক জেলা। সেই আগুন এতটাই পৌঁছে যাচ্ছে যে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। আর সেই বিক্ষোভ কে প্রশমিত করবার কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না প্রশাসনের মধ্যে। ওইদিন হাওড়ার উলুবেড়িয়া, বাগনান এবং মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় স্টেশনে। ভাঙচুর চালানো হয় বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেসেও। এমনকি টোলপ্লাজা তো আগুন লাগার ঘটনা সামনে এসেছে শনিবার সকালে রাজ্যের পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। হাওড়ার সাঁতরাগাছি, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে-সহ বিভিন্ন এলাকায় চলে বিক্ষোভ। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের অবস্থাও যথেষ্ট ঘোরাল। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিতে যাওয়ার আগে রাজ্যে দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এমন উত্তাল পরিস্থিতিতে বঙ্গে আসেন মুদিতা ঘিরে তাদের সমর্থকদের উৎসাহ-উদ্দীপনা তুঙ্গে তাঁকে ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি তৈরি হতে না পারে তাই নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদি মুলত যাবেন দুমকা। যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন।সেখানেই বেশ কিছুক্ষণ থাকবেন।

আজ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁকে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবেন রাজ্য বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। সেই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী। প্রতিনিধি দলে থাকছেন তিন জেলার প্রথম সারির নেতারা।

শনিবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, “সকল রাজ্যবাসীর কাছে আমি আবার অনুরোধ করছি যে কোনওভাবেই কোনওরকম হিংসাত্মক কাজকর্মে লিপ্ত হবেন না এবং রাজ্যজুড়ে সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখুন। মনে রাখবেন থানা, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, পোস্ট অফিস, সরকারি দপ্তর, পরিবহণ ব্যবস্থা জনগণের সম্পত্তি। সরকারি এবং বেসরকারি যে কোনও ধরনের সম্পত্তির কোনওরকম ক্ষতি হলে তা রাজ্য সরকার কোনওমতেই বরদাস্ত করবে না এবং আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।রাজ্য সরকার একদিকে যেমন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার সমস্ত রকম দাঙ্গা-হাঙ্গামা এবং শান্তি নষ্ট করার যাবতীয় প্রচেষ্টারও ঘোর বিরোধী।

আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং এনআরসির বিরুদ্ধে যাবতীয় বিরোধিতা করতে চাই কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে। কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে রাজ্যজুড়ে অশান্তির আবহ ও দাঙ্গা তৈরি করার চেষ্টা করছে।আমি সকলকে অনুরোধ করছি তাদের এই অসাধু উদ্দেশ্যে কর্ণপাত না করতে। সকল রাজ্যবাসীর কাছে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ যে সবাই শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখুন।”

সম্পর্কিত খবর