প্রাথমিকের পর পার্শ্বশিক্ষক,কেন বারবার অনশনের পথ বেছে নিতে হচ্ছে শিক্ষকদের!সরকারের বিপক্ষে উঠছে প্রশ্ন!

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক:  আন্দোলনের ইতিহাস পশ্চিমবঙ্গের কম নেই। তা রাজনৈতিক হোক বা-অরাজনৈতিক। কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছে যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিক্ষক আন্দোলন প্রতিবাদ একটা বড় জায়গায় গিয়েছে। সে রাজকুমার রায়ের মৃত্যু হোক বা শিক্ষকদের বেতন কাঠামো। বা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার জন্যই হোক। তারা আন্দোলনে নেমেছে বহুবার এবং নিজেদের ন্যায্য দাবি আদায় করবার জন্য। পথে নেমেছে বহুবার ন্যায্য বেতনএর জন্য। এবং নির্দিষ্ট বেতন কাঠামোর দাবিতে পার্শ্ব শিক্ষকদের অনশন আন্দোলন চলছে। আজ তাঁদের অবস্থান ১৭ দিনে ও অনশন ১৩ দিনে পড়ল। প্রায় প্রতিদিনই অনশনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অসুস্থ হয়ে হসপিটালে ভর্তি হচ্ছেন। এ নিয়ে বিজেপির দিলীপ ঘোষ ও মন্তব্য করেছেন এমনকি রাজ্যপাল এ বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছেন।

এখনও পর্যন্ত টানা অনশনের জেরে ৪০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা অসুস্থ। অন্য এক শিক্ষক শিক্ষিকা অনশনের পর মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিছানা ছেড়ে অনেকে প্রায় উঠতেই পারছে না। তবু লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে, তাঁরা আর পারছেন না। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের অনশন মঞ্চে আসার আবেদন জানালেন অনশনকারীরা। তবে তাদের বক্তব্য যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মমতা ব্যানার্জি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন এবং খুব সহজে কোন বিষয়কে মিটিয়ে দিতে পারেন সেখানে কেন তাদের দাবিগুলো শুনবার জন্য তারা আসেন না?

Mamta Jul1 1 770 770x433

পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে আসা অনশনকারী পার্শ্বশিক্ষিকা নেহা মণ্ডল বললেন, ” একাধিক বার চিঠি দিয়েও কোনও সদুত্তর পাইনি আমরা। আমাদের নেতারা আলোচনায় বসতে রাজি। আলোচনায় যেতেও  রাজি। মুখ‍্যমন্ত্রীকে বলব, আমাদের অবস্থা খুবই করুণ। আপনি এই সমস্যার সমাধান করুন।”

সম্পর্কিত খবর