লাদাখ ইস্যুতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ কেন চাইছে না ভারত চীন! জানালেন বিশেষজ্ঞরা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত (India)-চীন (China) সীমান্তে উত্তেজনা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া করাতে চাইলে, প্রথমে বাঁধা দেয় ভারত। তবে এবার মার্কিন হস্তক্ষেপে বাধাপ্রদান করল চীনও।

ভারত-চীন সংঘর্ষ
লাদাখ সীমান্তে বেশ কিছু দিন ধরে ভারতীয় এবং চাইনিজ সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ জারী রয়েছে। চৈনিক সেনা বেআইনিভাবে ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে ঘাটী গাড়তে চাইছে। আবার, জোজিলা সড়ক নির্মাণের বিষয়েও বাঁধা দিচ্ছে চীন। চীনের আশঙ্কা এই সড়ক প্রস্তুত হয়ে গেলে, ভারতীয় সেনারা অবাধ ভাবে চীনে যাতায়াত করতে পারবে।

President Xi Jinping

মধ্যস্থতায় ট্রাম্পকে বাঁধা চীনের
বিশ্বের এই দুই বৃহৎ দেশের মধ্যেকার সংঘর্ষ মিটিয়ে দিতে এগিয়ে এসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, ‘নরেন্দ্র মোদী আমরা এক ভালো বন্ধু। তিনি অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। বিরাট সংখ্যক জনসংখ্যার এই দুই দেশের কাছে প্রভূত শক্তিশালী সেনা বাহিনীও রয়েছে। তবে ওরা যদি চায়, তাহলে আমি ওদের মধ্যে মধ্যস্থতা করিয়ে দেব’। কিন্তু ট্রাম্পের এই বার্তা প্রথমে মোদী সরকার গ্রহণ করেননি। তিনি ট্রাম্পকে এই সমস্যার মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে নিষেধ করেছিলনে। মোদীর পর এবার ট্রামকে না বললেন চীন সরকার।

103150901 103144942 trump 23rd august epa 3

নমনীয়তা দেখানোর অবস্থায় নেই ভারত
আগামী নভেম্বরে রয়েছে ট্রাম্পের নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে ভারত এবং চীনের সহযোগিতা করে ট্রাম্প নিজের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারত বর্তমান সময়ে কোনোরকম নমনীয়তা দেখানোর অবস্থায় নেই। এই সংঘর্ষের মধ্যে ভারত ডোকলামের মতো নিজের অবস্থানে থাকার কৌশল তৈরি করেছে।

যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করছে চীন
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, করোনা সংকটের মধ্যে নিজের উপর থেকে দোষারোপের দাগ মুছতে, চীন ভারতের সীমান্তে সমস্যা সৃষ্টি করে আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি করছে। এতে করে এক যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করে অন্য দেশগুলিকে চাপে আনার কৌশল অবলম্বন করছে। পূর্বে ডোকলামের ক্ষেত্রেও একই ঘটনার চিত্র দেখা গিয়েছিল।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর