পতাকায় জড়ানো মৃত সৈনিকের স্ত্রী ভেঙ্গে পড়ল কান্নায়, চোখের জলে বিদায় জানাল গ্রামবাসী

Bangla Hunt Desk: দেশ মাতৃকা এবং দেশবাসীর রক্ষার্থে সর্বদা ভারতীয় সেনারা (Indian army) নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশকে রক্ষা করে চলেছে। পরিবার পরিজন ছেড়ে সীমান্ত এলাকায় তারা নিয়োজিত থাকে দেশের সুরক্ষার প্রয়োজনে। কিছুদিন আগেই দেশ মাতৃকাকে রক্ষার্থে শহীদ হন ভারতের বীর জওয়ান মনীষ।

খুজনারে নিজের বাড়িতে যখন শহীদ মনীষের দেহ নিয়ে আসা হয়, তখন কানান্য ভেঙ্গে পড়ে গোটা গ্রাম। রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে শহীদের জন্য থেকে অপেক্ষা করতে থাকে মানুষজন। গ্রামে পৌঁছাতেই শহীদকে ফুল দিয়ে সম্মান জানায় গ্রামবাসী। পতাকা দিয়ে জড়িয়ে নিয়ে আসা হয় শহীদের দেহ।

   

কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্ত্রী আরতি
স্বামীকে শেষবারের মত দেখার জন্য স্ত্রী আরতি অপেক্ষা করছিলেন। সেনাবাহিনীর টিম শহীদ মনীষকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেলে কান্নায় ভেঙ্গে পরে তাঁর বাব, মা এবং স্ত্রীও। স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পাওয়া থেকে বিগত ৩ দিন ধরে সমানে কেঁদে চলেছেন স্ত্রী আরতী।

শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মুক্তিধামে
বেদনারত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে, কিছুক্ষণের জন্য সেখানেই রাখা হয় শহীদের মরদেহ। তারপর তাঁর শেষকৃত্যের জন্য মুক্তিধামে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের লোকজনকে শহীদের মরদেহ দেখানোর পর, সেনারা শহীদ মনীষের মরদেহ মুক্তিধামে নিয়ে আসে। সেখানে গার্ড অফ অনারের মাধ্যমে শহীদের মুখাগ্নির প্রস্তুতি চলছিল।

শহীদ মনীষের নাম বেঁচে থাকবে
সেইসময় সেখানে শহীদ মনীষের পিতা ছেলের মুখ আরও একবার দেখার অনুরোধ করেন। কিন্তু সেনাবাহিনী তাঁর এই কথায় সমর্থন না করলে, তিনি ক্রদ্ধ হয়ে যান। প্রাক্তন বিধায়ক অমর সিং যাদব এবং সেনাবাহিনী কর্নেল ঘটনাস্থলে পৌঁছে শহীদের পিতাকে অনেক কষ্টে বুঝিয়ে শহীদের অন্তিম কার্যের ব্যবস্থা করেন। মুক্তধামে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে শহীদ মনীষের দাদা ভাইয়ের মুখাগ্নি করে। এই ঘটনার দৃশ্য গ্রামবাসী ক্যামেরা বন্দী করে নেয়। সেইসঙ্গে তারা বলে ওঠে, যতক্ষণ আকাশে সূর্য চাঁদ থাকবে, ততক্ষণ শহীদ মনীষের নাম বেঁচে থাকবে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর