বৈদেশিক ভিসা বাতিলের সাথে সাথে বন্ধ হল চেকপোস্টও, করোনা প্রতিরোধে তৎপর ভারত সরকার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) আতঙ্কে বিশ্ব আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে রয়েছে। মহামারির আকার ধারণ করা এই রোগকে WHO এই রোগকে মহামারি বলে ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতেও এর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু ভারতের (India) অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যাতে এর প্রভাব না পড়ে সেই জন্য ভারত সরকার উঠে পড়ে লেগেছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার ৩৭ টি চেকপোস্টের (checkpost) মধ্যে মাত্র ১৯ টি খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। অর্থাৎ ১৮ টি চেকপোস্ট বন্ধ রাখার কথা বলেন।

   

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ভারত নেপাল (Nepal) সীমান্ত এলাকায় মাত্র ৪ টি চেকপোস্ট খোলা থাকবে। এই সীমা নেপাল এবং ভুটানের সংযোগস্থল। মারণরোগ করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধের কারণে ভারত সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কার্যালয় সচিব অনিল মালিক বলেন, ”৩৭ টি অন্তরাস্ট্রীয় চেকপোস্টের মধ্যে শুধুমাত্র ১৯ টি খুলে রাখা হবে। কর্তারপুর করিডোর বন্ধ রাখা হবে কিনা, সেই নিয়েও আলোচনা চলছে”। স্বাস্থ্যমন্ত্রালয়ের সযুক্ত সচিব আগরয়াল বলেন, ‘সীমান্তবর্তী এলাকায় সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে কম যানজট থাকলে, যাত্রীদের পরীক্ষা করতেও সুবিধা হবে’।

করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রকোপ থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আগামী ১৫ ই এপ্রিল অবধি বিদেশের ভিসা বাতিল করে দেয় কেন্দ্র সরকার। এমনকি বাংলাদেশ (Bangladesh) ভারতের বাস এবং ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়। এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার বিদেশের নাগরিকদের ভারতে আসার অনুমতি রদ করে দেন।

 

বর্তমানে দিল্লীতে (Delhi) আগামী ৩১ শে মার্চ অবধি সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার সিধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সরকার। এর পাশাপাশিও কলকাতারও বহু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।করোনা ভাইরাসকে ‘নোটিফায়েড ডিজাস্টার’ বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। এরই সাথে মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার।

যে কোন রকম পরিস্থিতিতে ভাইরাসের হাত থেকে মোকাবিলা করার জন্য সব রকমভাবে তৈরি সরকার। প্রয়োজনীয় মাস্ক, স্যানেটাইজার মজুত রাখা হচ্ছে। সকল নাগরিককে করোনা ভাইরাসের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বনও করতে বলা হয়েছে।করোনা ভাইরাসকে দিল্লীও হরিয়ানায় মহামারি বলে আখ্যা দেওয়া হছে। মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং রাজস্থানে সমস্ত স্কুল, সুইমিংপুল, জিম, প্রেক্ষাগৃহ, পার্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

 

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর