মানবজীবনের খাদ্য কষ্ট দূর করতে উপাসনা করুন মা শাকম্ভরীর, সহায় হবেন মা

বাংলাহান্ট দেস্কঃ হিন্দু দেবী মহামায়া পার্বতীর অপর রূপ হল শাকম্ভরী (shakambari)। মার্কণ্ডেয় পুরাণ ও দেবীভাগবত পুরাণে দেবীর এই রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। হিরণ্যাক্ষ বংশধর রুরুর পুত্র দুর্গমাসুরকে বধ করার জন্যই দেবী পার্বতী শাকম্ভরী রূপ ধারণ করেছিলেন, এমনটাই বর্ণনা করা আছে দেবীভাগবত পুরাণে।

   

ব্রহ্মার বরে দুর্গমাসুর ত্রিলোক মধ্যে অখিল দেব দ্বিজগণের সময় উৎপন্ন বেদমন্ত্রের ফলে যজ্ঞে আহুতি প্রদানে অক্ষম হয় ঋষিরা। তখন ভূলোকে সমস্ত শুভ কাজ করার সময় হাহাকার ধ্বনি উৎপন্ন হয়। যার জেরে যজ্ঞে ঘৃত আহুতি প্রদান না হওয়ার ফলে বৃষ্টি হল না। যার প্রভাবে শস্য, ফসল কিছুই উৎপন্ন হল না। শুভ শক্তি চাপা পড়তে শুরু করল। ঋষিগণ, দেবগণ দুর্বল হতে শুরু করল।

সেই সময় অনাহারে বিপ্রগণ দেবী মহামায়ার স্তোত্রপাঠ করতে শুরু করল। দেবী মহামায়া পার্বতীর কাছে প্রকট হয়ে বিপ্রগণ ও দেবগণ তাঁহাদের করুন অবস্থার বর্ণনা দেবীর কাছে অর্পন করেন। সেই সময়ব তাঁদের দুঃখের কথা শুনে দেবীর চোখ থেকে জল বেরিয়ে আসল। ফসল না হওয়ার কারণে দেবী নিজের শরীরেই ফসল ধারণ করে তাঁদের দুঃখ নিবারণ করলেন। এই ঘটনার পরবর্তীতে সেই সময় থেকেই দেবী শাকম্ভরী নামে বিখ্যাতা হন।

মানুষের দুঃখ কষ্ট দেখে দেবীর এই শাকম্ভরী রূপ ধারণ করায় সংকট মুক্তি ঘটে মানবজীবনে। এই ঘটনার পর থেকেই দেবী দুর্গার আরও এক রূপের প্রচলন হয়। শ্রাবণ মাসে দেবী শাকম্ভরীর কৃপায় বাংলার মাঠঘাট শাকসব্জিতে ভরে ওঠে। এখনও বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে আসন্ন শ্রাবণ মাসে এই দেবীর আরাধনা করা হয়।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর