যোগী আদিত্যনাথের বড় সিদ্ধান্ত! এক স্ত্রী থাকাকালীন কোনো হিন্দু ব্যাক্তি দ্বিতীয় বিয়ে করলে তার বিরুদ্ধে হবে কড়া একশন

যে সভ্যতায় নারীদের সন্মান থাকে না সেই সভ্যতা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বিশ্বের সমস্ত পুরানো সভ্যতা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। একমাত্র ভারতীয় সভ্যতা টিকে রয়েছে। এর একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ভারতীয়দের চরিত্র ও নারীদের সন্মান। ভারত যখন বিশ্বগুরু ছিল, তখনও অন্য দেশের মানুষ ভারত থেকে শিক্ষা গ্রহন করে যেত। তবে যেটার উপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো তা হলো চরিত্র গঠন। কিন্তু বর্তমানে পাশ্চাত্য প্রভাবে এখন ভারতীয়রাও তাদের চরিত্র হারিয়ে বসতে শুরু করেছে। তবে কিছু মানুষ ভারতের উত্থানের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন।

 

এরমধ্যে উত্তরপ্রদেশকে রাম রাজ্য করার জন্য রীতিমতো মাঠে নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বুধবার তিন তালাক ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে দেখা করেছেন। সেই সময় তিনি মুসলিম মহিলাদের সাথে সাথে হিন্দু মহিলাদের অধিকার নিয়েও একটি বড় বক্তব্য দিয়েছেন। যোগী বলেন যে স্ত্রী থাকা অবস্থায় হিন্দু পুরুষ যদি দ্বিতীয় বিয়ে করে তবে তার বিরুদ্ধে পুলিশকে কঠোর  ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। প্রধান সচিব স্বরাষ্ট্রকে এই জন্য ডাকা হয়েছিল যাতে তিনি সেই মামলা গুলিকে দেখে ও পদক্ষেপ নেয় যেই মামলাগুলোর উপরে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

 

সিএম যোগী জানিয়েছেন যে, গত এক বছরে উত্তরপ্রদেশে ২৭৩ ট্রিপল তালাকের ঘটনা ঘটেছে। আর এই ২৭৩ টি মামলার উপর এফআইআর নিবন্ধিত হয়েছিল। যোগী আদিত্যনাথ বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি তিন তালকের মতো কুপ্রথার উপর আক্রমণ করেছেন। এছাড়া তিন তালাকের জন্য যেই সব মহিলারা লড়াই করেছে তাদের কেও  ধন্যবাদ জানাই। মুসলিম সমাজে অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। আমাদের বোনরা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত ট্রিপল ডিভোর্সের মামলার জন্য লড়াই করেছে। প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্ট অবধি লড়াই লড়ার যে পথ দেখিয়েছে নারীদের এবার সেই পথেই চলতে হবে।

 

মুখ্যমন্ত্রী যোগী জানান যে ট্রিপল তালাকের কুপ্রথাকে বন্ধ করার আদেশ প্রায় পাঁচবার দেওয়া হয়েছিল। শাহ বানো মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আদেশ সত্ত্বেও তৎকালীন সরকার দ্বারা তোষণনীতি গৃহীত হয়েছিল। এরপর সরকার  সমাজ বিভক্ত করার সময় সেকুলারিজম কথা বলতে থাকেন। আজও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ট্রিপল তালাক দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এই আইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যোগী বলেন, ভাঙ্গা খুব সহজ তবে জুড়ে রাখা খুব কঠিন। আমাদের লড়াইটা হলো জুড়ে রাখার। প্রত্যেক মহিলার বেঁচে থাকার  এবং শিশুদের সম্মানের সাথে এগিয়ে যাওয়ার অধিকার থাকা উচিত।

সম্পর্কিত খবর