মুসলিম যুবক হিন্দু মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখছিস,দমদমে রোশের মুখে যুবক-যুবতী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গাল ভর্তি দাড়ি,চালচলনে নেই কোনও বিশেষ বিশেশত্ব। সকলেরই সন্দেহ হবে তিনি হয়তো মুসলিম আর সেই অপরাধেই সঙ্গী সহ যুবককে খেতে হল মারধর। শুধু স্থানীয়দের হাতে মার খাওয়াই নয় পুলিশের কাছ থেকে কটূক্তিও শুনতে হলেও ওই যুবক এবং যুবতীকে। ঘটনাটি ঘটেছে খোদ শহর কলকাতার বুকে।

শনিবার রাতে ওই যুবক জয় দিচ্ছেন তাঁর বান্ধবী মৈত্রেয়ী গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে নাগেরবাজারের একটি পানশালায় যান। সেখানে কিছু ঘণ্টা কাটানোর পর সংসারের বাইরে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিলেন দুই বন্ধু। ব্যস তার পরেই এক মাঝবয়সী লোক এসে জয়দ্বীপ এবং মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করতে শুরু করে,প্রযুক্তির ভাষা সীমা ছাড়ালেই ধৈর্য না ধরতে পেরে ওই মাঝ বয়সী লোকটির গালে থাপ্পড় মারেন মৈত্রেয়ী। ব্যস তার পর থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।

মৈত্রেয়ী গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মাঝবয়সী image 12লোকটি রীতিমতো ধাক্কা মেরে তাঁকে মারধর শুরু করে, দুজনের মধ্যে এক প্রকার ধস্তাধস্তি হয়। এর পর জয়দীপের চিত্কার শুনে স্থানীয় কয়েকজন ছুটে এলেও দুজনকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি শুরু হয়। সকলে একসঙ্গে জড়ো হয়ে রীতিমতো বেধড়ক মারতে থাকে জয়দ্বীপ ও তাঁকে শুধু তাই নয় স্থানীয় কয়েকজন মহিলারাও তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।

একই সঙ্গে মৈত্রী আরও জানিয়েছেন জয়দীপের গালে দাড়ি থাকায় তাঁকে সকলেই মুসলিম বলে ধরে নেয়, এবং মেয়ের হয়ে মদ খেয়েছে সিগারেট খেয়েছে বলে মহিলারা বেধড়ক মারতে থাকে। পরে পুলিশ এসে তাঁদের গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে রীতিমতো আবারও কটাক্ষ শুরু করে। এমনকি তাঁদের কোনও অভিযোগও নিতে চায়নি পুলিশ এমনটাই দাবি মৈত্রয়ীর

অভিযোগ নেওয়ার কথা শুনে পুলিশ অফিসার দুজনেই রীতিমতো লক আপে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন বলে জানান মৈত্রেয়ী। পরে মাঝরাতে দুজনের পরিবারের সদস্যরা এলে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান তবে থানায় কোনও অভিযোগ জানানোর সুযোগ পাননি কিন্তু সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা, জয়দীপ ও মৈত্রেয়ী দুজনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান।

তবে সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি জানানোর পর দমদম থানা থেকে তাঁদের ফোন করে থানায় যেতে বলা হয় এবং অভিযোগ নেওয়া হয়। তবে এতেও কিন্তু শান্তি পাননি মৈত্রেয়ী গঙ্গোপাধ্যায় কারণ তার পর থেকে ধর্ষণ এবং খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তবে এসবের পাল্টা এক পোস্ট করেছেন সঞ্জীব সাহা নামে এক ব্যক্তি।

যুবক যুবতীর দাবিকে অস্বীকার করে তাঁরা ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে আসল ঘটনা চাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এমনকি ওই ঘটনায় আরও দুজন ছিল বলে অভিযোগ জানিয়েছেন সঞ্জীব সাহা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চাননি ওই ব্যক্তি।

সম্পর্কিত খবর