দুই স্ত্রী-কে একই বাড়িতে থাকতেন স্বামী, শ্যালিকার প্রেমে পড়তেই বিপদ শুরু! হল করুণ পরিণতি

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বিহারে একটি বিয়েকে কেন্দ্র করে একটি চমকপ্রদ গল্প সামনে আসছে। এই বিচিত্র ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গোপালগঞ্জে। যে যুবককে কেন্দ্র করে এই ঘটনা সেই যুবকটি জাদোপুর থানার অন্তর্গত অবোধ নগরে দুই স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। প্রতিমুহূর্তে তাদের মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকতো কিন্তু শেষপর্যন্ত তার দুই স্ত্রীয়ের মধ্যে কলহ এতটাই বেড়ে যায় যে ঘরের ভেতর ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী।

এই ঘটনার খবর পেয়ে লোকাল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারপর তারা লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত আচ্ছেলাল সাহ, উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর জেলার তরেয়া সুজন থানা এলাকার অহিরোলি দানের বাসিন্দা নারায়ণ সাহের ছেলে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

শোনা যায় যে, উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর জেলার তরেয়া সুজন থানার অন্তর্গত আহিরলি দান এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ সাহের ছেলে আচ্ছেলাল সাহ আট বছর আগে যাদোপুর থানার অবধ নগরের মঞ্জু দেবীর সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। প্রাথমিক ভাবে বিবাহের পর স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতে শুরু করেছিলেন। ওখানে থাকাকালীন আচ্ছেলাল সাহ এবং তার শ্যালিকা বেবী দেবীর মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের প্রেম এতটাই বেড়ে যায় যে চার বছর আগে বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও আচ্ছেলাল ফের নিজের শ্যালিকাকে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর থেকে আচ্ছেলাল সাহ তার দুই স্ত্রীকে নিয়েই শ্বশুর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। মাঝেমধ্যেই ঘোর অশান্তি হতো দুই বোনের মধ্যে। এই সময় বুধবার রাতে ফের দুই স্ত্রীর মধ্যে ঘরোয়া বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এই সময় স্বামী একা ঘুমানোর কথা বলে বাড়িরই একটি রুমে চলে যান। পরে দীর্ঘক্ষণ দরজা না খোলায় ডাকাডাকি পড়ে যায়। এরপর দেখা যায় যে তিনি ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নেমেছে।