বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের আবহে একটি বিতর্ক সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সম্প্রতি জিডি বিড়লা সভাঘরে দেশ পত্রিকার তরফ থেকে একটি বিতর্ক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন শহর কলকাতার নামী চিকিৎসক ডঃ কুণাল সরকার। সেই সভাতেই দর্শকদের রোষের মুখে পড়েন তৃণমূল (TMC) নেতা।
সদ্য আয়োজিত এই বিতর্ক সভায় কুণাল ছাড়াও উপস্থিত হয়েছিলেন তরুণ বাম নেতা শতরূপ ঘোষ (Shatarup Ghosh) এবং সদ্য বিজেপিতে যোগদান করা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। ‘এখন বাংলায় রাজনীতি মানেই দুর্নীতি’, বিতর্কসভার বিষয়বস্তু ছিল এটি। আর তা নিয়ে বক্তব্য রাখার সময়েই দর্শকদের রোষের মুখে পড়েন তৃণমূল নেতা।
আমাকে ভাঙিয়েই প্রচার নিতে হয়!!
জাত মিথ্যুক কাকে বলে দেখুন।
যখন আমি কয়েকটা অসভ্য কমরেডকে একাই সামলাচ্ছি, তখন বাতেলাবাজ কোথায় ছিল ছবিতে দেখুন। চারটে ভাড়াটে নিয়ে বিতর্কসভায় প্রতিপক্ষের কথায় বাধা দেওয়া আর তা নিয়ে মিথ্যাচার করে প্রচার নেওয়া। সিপিএমের নতুনদের মধ্যে সবচেয়ে… pic.twitter.com/AErVHUa28a— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 6, 2024
কুণাল ঘোষের দাবি, বাম জমানার কেলেঙ্কারি নিয়ে তিনি মুখ খুলতেই দর্শকরা গর্জে ওঠেন। তখন বিতর্ক সভার (Debate) সঞ্চালক ডঃ কুণাল সরকার সহ আয়োজকরা উত্তেজিত দর্শকদের শান্ত করতে যান। শতরূপ এবং কৌস্তভও পোডিয়ামের ধারে চলে আসেন। বিতর্ক সভার এই ঘটনায় সঞ্চালকের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা।
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ডিগবাজি! এবার মুখ খুলে বিরাট দাবি শেখ শাহজাহানের, শোরগোল রাজ্যে
কুণালের দাবি, শতরূপ, কৌস্তভরা যখন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বিরুদ্ধে ‘খারাপ কথা’ বলছিলেন, সেই সময় ডঃ কুণাল সরকার তাঁদের বাধা না দিয়ে ‘প্রশংসা’ করছিলেন। অথচ তিনি যখন বাম জমানা নিয়ে সরব হন, তখন দর্শকরা তেতে উঠলেও তিনি ‘নীরব’ ছিলেন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় সঞ্চালককে আক্রমণ করে তিনি লেখেন, ‘ডাক্তার কুণাল সরকার নিজেকে বিবেকে সাজিয়ে রাখেন, তবে তিনি নিরপেক্ষা নন। তৃণমূল বিরোধী একজন রাজনৈতিক সত্ত্বা তিনি’।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে পরবর্তীকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বাম নেতা শতরূপ। তিনি লেখেন, ‘পাবলিক তেড়ে এলেন কুণাল ঘোষের দিকে, সেই আমাদেরই কোনোরকমে বাঁচাতে হল’। বিষয়টি চোখে পড়ে তৃণমূল নেতার। এরপর শতরূপের পোস্টের স্ক্রিনশট এবং বিতর্কসভার একটি ছবির পোস্ট করে বাম নেতাকে আক্রমণ করেন তিনি।
শনিবার রাতে কুণাল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আমাকে ভাঙিয়েই প্রচার নিতে হয়!! জাত মিথ্যুক কাকে বলে দেখুন। যখন আমি কয়েকটা অসভ্য কমরেডকে একাই সামলাচ্ছি, তখন বাতেলাবাজ কোথায় ছিল ছবিতে দেখুন। চারটে ভাড়াটে নিয়ে বিতর্কসভায় প্রতিপক্ষের কথা বাধা দেওয়া আর তা নিয়ে মিথ্যাচার করে প্রচার নেওয়া। সিপিএমের নতুনদের মধ্যে সবচেয়ে পচা মাল, তিনবার হারার পর পার্টি যাকে টিকিটও দেয় না। পুরো মিথ্যে, ওপরচালাকি, মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর দাঁড়িয়ে এই গ্যাসবেলুন’।