কেন্দ্রের শর্ত মেনে ৩ মাসে রাজ্যের লক্ষ্যমাত্রায় ১১ লক্ষ বাড়ি! পরিসংখ্যানের শীর্ষে কোচবিহার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুমাস ধরে লাগাতার আবাস যোজনার দুর্নীতিতে (Awas Corruption) জেরবার রাজ্য সরকার। পাহাড়প্রমান দুর্নীতি দিয়ে ঢেকে গেছে বঙ্গের আবাস যোজনার তালিকা। সেই নিয়েই রণক্ষেত্রের চেহারা ধারণ করেছে বাংলার মাটি। অন্যদিকে, এই আবহেই আবাস যোজনা নিয়ে বড় ঘোষণা করল তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকার। আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরি হবে বাংলায়। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সমস্ত জেলাকে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

এদিন মুখ্যসচিব জানান, আগামী ৩১ মার্চ, অর্থাৎ পরবর্তী তিন বছরের মধ্যেই বাংলায় ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি বানানোর কাজ সেরে ফেলতে হবে। এবিষয়ে নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ১০ লক্ষ ১৯ হাজার জনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই সাথেই দেওয়া হয়েছে গাইডলাইন। বলা হয়েছে, অনুমোদন দেওয়ার দিন থেকে চল্লিশ দিনের মধ্যেই বাড়ির জালনা পর্যন্ত গাঁথনি করে ফেলতে হবে। তার পরবর্তী ৩৫ দিনের মধ্যে লিন্টেল পর্যন্ত গাঁথনির কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তার ঠিক ১৫ দিন পর বাড়ির ভেরিফিকেশনের করতে পৌঁছে যাবে সরকারি টিম।

এছাড়াও নবান্ন তরফে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে জেলা ভিত্তিক অনুমোদনের পরিসংখ্যান। নবান্নের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আবাস প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার (Coochbehar) জেলায়। কোচবিহারে ১ লক্ষ ১৯ হাজারের বেশি পরিবারকে এরমধ্যেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে, সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। অন্যদিকে সবচেয়ে কম আবেদন জমা পড়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।

এদিন কেন্দ্রের আবাস যোজনার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান , “এই প্রকল্পের জন্য টাকা আগেই দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রের। কিন্তু আর্থিক বছরের শেষে এসে টাকা দিল। তিন মাসের মধ্যে সাড়ে ১১ লক্ষ পরিবারকে চিহ্নিত করে কাজ শেষ করা মুখের কথা নয়। আসলে বিজেপি রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকে বড় করে দেখাতে চায়। সেই কারণেই বছরের শেষে এসে টাকা দিল। এরপর টাকা খরচে দেরি হলে বলবে, দেখো পারল না।”

pmay

প্রসঙ্গত, বছর শুরুতেই আবাস যোজনার ওপর কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যসরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে নজরদারি চালাতে স্পষ্ট গাইডলাইনও বেঁধে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর