বীরভূমের এই গ্রামে সমস্ত নিয়ম-আচার মেনে দুর্গাপুজো করেন মুসলিমরা, কেন জানেন?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মা সকলের। এই ভাবনাই যেন বাস্তবে তুলে ধরেন বীরভূম (Birbhum) জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা কাজল শেখ (Kajal Sheikh Durga Puja)। নানুরের পাপুরি গ্রামের দুর্গাপুজো এ বার ১২ তম বর্ষ পূর্তি। মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এই পুজো শুরু করেছিলেন কাজল শেখ। যেই পুজোর আয়োজক মুসলিম সম্প্রদায়।

নানুরের পাপুরি গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ গুটি কয়েক। তাদের যাতে নিজেদের শ্রেষ্ঠ উৎসব পালনে কোনও আক্ষেপ না থাকে সেই কারণে আজ থেকে প্রায় ১২ বছর আগে মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামে দেবীর আরাধনা শুরু করেছিলেন কাজল শেক।

অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে বর্তমানে জেলায় তার দায়িত্ব বেড়েছে অনেকটাই। বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্বে রয়েছেন কাজল। কাঁধে বিরাট দায়িত্ব, কাজেরও তেমনই চাপ। তবে তাই বলে পুজোর সময় দেবেন না এমনটা কিন্তু নয়। সকাল থেকে রাত মা দুর্গার পুজোয় ব্যস্ত তিনি।

আরও পড়ুন: বৃষ্টির ঝোড়ো স্পেল! দশমীতে দক্ষিণবঙ্গের এই ৭ জেলায় চলবে তাণ্ডব, জানাল আবহাওয়া দপ্তর

নানুরের এই পূজার ঠাকুর আনা, নিয়ম-আচার থেকে শুরু করে কেনা-কাটা, বাজার-হাট, প্রতিমা বিসর্জন- সব কিছুরই দায়িত্বে থাকেন গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। হিন্দু ভাই-বোনেদের মুখে হাসি ফোটাতে পুজোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন তারা।
পুজোয় মন্ত্র পাঠের গ্রামের মুসলিমরা মাথার ফেজ টুপি খুলে বসে পুজো দেখেন। আবার সেভাবেই আজানের সময়ও পুজো কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়।

kajal

নিজের হাতে শুরু করা এই পুজো নিয়ে কাজল শেখ বলেন, ‘এই গ্রামে আমরা হিন্দু-মুসলিম সবাই একই সঙ্গে ছোট থেকে বড় হয়েছি। ওদের যখন আমাদের সঙ্গে ঈদ পালন করতে পারে তাহলে আমরাও অবশ্যই পারি ওদের সঙ্গে দুর্গা পুজো পালন করতে । আগে এখানের হিন্দু ভাইদের মনে দুর্গাপুজো না হওয়ার দুঃখ ছিল। আশা করি তাদের মুখে অন্তত হাসি ফোটাতে পেরেছি। এখানে যেমন ঈদও হবে, তেমনই দুর্গাপুজোও হবে।’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর