বিগ ব্রেকিং: ১৪,৫০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে নাম উঠলো কংগ্রেস নেতার ছেলের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি সনিয়া গান্ধীর (sonia gandhi) ঘনিষ্ঠ নেতা আহমেদ প্যাটেল (Ahmed Patel) এর ছেলে ফৈসল প্যাটেলকে (Faisal Patel) জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ED সমন পাঠাল। ফৈসলকে স্টার্লিং বায়োটেক ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এই সমন পাঠায় ইডি। এই নিয়ে তৃতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আহমেদ প্যাটেলের ছেলেকে ডাকল ইডি। স্টার্লিং বায়োটেক মামলায় ED তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত তল্লাশিতে ১ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। স্টার্লিং বায়োটেক হল গুজরাটের একটি ফার্মা কোম্পানি যার উপর অন্ধ্র ব্যাঙ্ক দুর্নীতির অভিযোগ আছে। এই মামলায় অনেক বড়বড় মানুষের নাম জড়িত আছে।

Faisal Patel

ED এই মাসেই আহমেদ প্যাটেলের জামাই ইরফান সিদ্দিকিকেও এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। নয়া দিল্লীর ED-র দফতরে গুজরাটের ভডোদরায় অবস্থিত কোম্পানির মালিক এবং প্রমোটার্স সন্দেসরা ব্রাদার্সের সাথে তাঁর সম্পর্কের কথা বলার পর, ইরফান সিদ্দিকির বয়ান পিএমএলএ অনুযায়ী দাখিল করে নিয়েছে ED। পেশায় আইনজীবী ইরফান সিদ্দিকির বিয়ে আহমেদ প্যাটেলের মেয়ে মুমতাজ প্যাটেলের সাথে হয়েছিল। আহমেদ প্যাটেল গুজরাট কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীর ব্যাক্তিগত সচিবও ছিলেন।

1 32

ইডি দাবি করে জানায়, ইরফান সিদ্দিকি আর ফৈসল আহমেদের বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে অনেক নতুন তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ খেলাপি গুজরাটের ফার্মা কোম্পানি আর তাঁর প্রধান প্রমোটার নিতিন সন্দেসরা, চেতন সন্দেসরা আর দীপ্তি সন্দেসরা করেছিল। তাঁরা সবাই এখন পলাতক।

ED এর তদন্তে পাওয়া গেছে যে, সন্দেসরা গ্রুপ ভারতীয় ব্যাঙ্কের ওভারসিস শাখা গুলো থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক লোন নিয়েছে। ঋণ নেওয়ার পর সেই টাকা ভুয়ো কোম্পানির নামে আলাদা আলাদা দেশে পাঠানো হয়েছে, আর এরপর নাইজেরিয়ায় পয়সা মজুদ করা হয়েছে। ED কিছুদিন আগেই তদন্ত করে সন্দেসরা গ্রুপের বিদেশের ৯৭৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে। যার মধ্যে নাইজেরিয়ার‍ অয়েল ফিল্ড, প্লেন, শিপ’স আর লন্ডনের বাড়িও যুক্ত আছে।

Ahmad Patel

কংগ্রেসের সমস্ত বড়বড় নেতা আর তাঁদের পরিজনেরা কোনও না কোনও দুর্নীতির সাথে যুক্ত। INX মিডিয়া দুর্নীতিতে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র তথা অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম এখন সিবিআই এর হেফাজতে। আবার ওনার ছেলে কার্তি চিদম্বরমের উপরেও মামলা চলছে। আর সবথেকে বড় অবাক করা কথা হল, সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী নিজেই দুর্নীতির মামলায় জামিনে আছে। পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির জন্যই ২০১৪ সালে কংগ্রেস ল্যাজেগোবরে হয়েছিল। আর সেই পরাজয় ২০১৯ এ এসে আরও বড় হয়।
Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর