কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকেই অনুপস্থিত বনগাঁর ৩ বিধায়ক, কোন্দল প্রকাশে চিন্তা বাড়ছে বিজেপির অন্দরে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিজেপির (bjp) অন্দরের কোন্দল ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। হেভিওয়েট নেতৃত্ব থেকে শুরু করে, দলীয় বিধায়ক- একাধিক নেতৃত্বের গলায় শোনা যাচ্ছে অন্য সুর। এমনকি অনুপস্থিত থাকছেন দলীয় বৈঠকেও। যা নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।

দলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকছে না দলের একাংশই। অজুহাত হিসেবে উঠে আসছে কখনও পূর্ব পরিকল্পিত কোন কর্মসূচী, আবার কখনও দলের মধ্যেকার অন্তর্দ্বন্ধ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠক থেকে শুরু করে, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের উপস্থিতিতে কোন বৈঠক, একাধিক বৈঠকে অনুপস্থিত থাকছে দলীয় নেতৃত্বরাই। যা কিছুটা চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে পদ্ম শিবিরকে।

vbbvbdbk

শনিবার দুপুরে বনগাঁ (Bangaon) সাংগঠনিক জেলার নেতা, দলের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। কিন্তু সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল, কল্যাণ সরকার, বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। এমনকি জানা গিয়েছে, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে জেলা সভাপতি মনস্পতি দেবের মধ্যেকার বিরোধের জেরে, এই দুজনের অনুগামীদের কখনই এক বৈঠকে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না।

বিজেপির নেতৃত্বদের এমন অবস্থা দেখে কটাক্ষ করে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, ‘বনগাঁয় বিজেপির যা অবস্থা, তাতে কেউই থাকতে চাইছেন না। আগে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা প্রতিদিন বাংলায় এসেছেন, আর এখন নিজেরা না এসে অন্যদের পাঠাচ্ছেন’।

তবে এদিনের দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত হওয়ার বিষয়ে, পূর্ব পরিকল্পত ভ্রমণের কারণ দেখিয়েছেন বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া। আর বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পারায় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘হয়ত অনেকের ব্যক্তিগত কোন কাজ বা পূর্ব পরিকল্পিত কর্মসূচি রয়েছে। তাই যারা এসেছেন, তাঁদের নিয়েই বৈঠক করা হয়েছে’।
Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর