ট্রেনের ধাক্কা কেড়ে নিল হাসিখুশি পরিবারের আনন্দ, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত একই পরিবারের ৩ সদস্য

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল নাদিয়াপাড়া গ্রামের (Nadiapara village) বাসিন্দারা। একটি মালগাড়ির সাথে একটি মারুতি গাড়ির মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল একই পরিবারের ৩ সদস্য। বোকো পিএসের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

ঘটনার বিবরণ
ছাইগাঁও এলএসি-র অন্তর্গত হাতিসোলাপাম গ্রামের একটি হাসিখুশি পরিবারের ৪ জন সদস্য মারুতি সুজুকি চেপে তাঁদের গন্তব্যস্থলে যাচ্ছিলেন। সেইসময় একটি মালগাড়ি গুয়াহাটি থেকে নিউ বনগাইওনের দিকে আসছিল। নাদিয়াপাড়া গ্রামের পথ দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই ঘটে যায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

tarin 3

একই পরিবারের ৩ সদস্য মৃত
মারুতি গাড়িতে ছিলেন একই পরিবারের ৪ সদস্য। বছর ৪৬-এর ডাঃ আবদুল জলিল, তাঁর ৪৪ বছর বয়সী স্ত্রী সানিয়ারা পার্বিন, বড় মেয়ে আফরিন সুলতানা (১২) এবং ছোট মেয়ে জান্নাত জোহান সুলতানা (৫)। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ডাঃ আবদুল জলিল, তাঁর স্ত্রী সানিয়ারা পার্বিন এবং বড় মেয়ে আফরিন সুলতানা। ছোট মেয়ে জান্নাত জোহান সুলতানা গুরুতর আহত হয়। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রেলওয়ে বিভাগ রেল লাইনের নীচে একটি সুড়ঙ্গ তৈরি বানিয়েছিল। কিন্তু সেটি বছরের বেশিরভাগ সময় জলের নিচে থাকার কারণে, স্থানীয়রা পারাপারের জন্য রেললাইনের পথ অবলম্বন করে। বহুবার রেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। তাঁদের দাবি, রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার খরব পেয়ে বোকো পিএস অফিসার ইনচার্জ সঞ্জিত কুমার রায় ও পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মৃতদেহ গুলিকে পোস্ট মর্টেমের জন্য এবং আহত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর