একমাসেই ৩ বার! ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৯, তাসের ঘরের মত ধসছে বাড়ি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুক্রবার গভীর রাতে ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠলো প্রতিবেশী দেশ নেপাল (Nepal)। গভীর রাতে প্রবল কম্পনে তছনছ হয়ে গিয়েছে নেপালের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় ১২৮। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এমনকি নেপালের ভূকম্পনের অভিঘাত এমন ছিল যে, সেই প্রভাব এসে পড়েছে দিল্লির (Delhi) মাটিতেও।

এইদিন নেপালের ভূকম্পনের অভিঘাত এসে পৌঁছেছে অযোধ্যা-সহ উত্তর ভারত সহ লক্ষ্মৌ এবং বিহারের বড় অংশের মাটিতেও। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাত্রি ১১ টা নাগাদ দিল্লি এনসিআরে যে কম্পন অনুভূত হয় তার উৎপত্তিস্থল ছিল নেপাল। মাটি থেকে মাত্র ১০ কিমি নীচে ছিল কম্পনের কেন্দ্র। অন্যদিকে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল মাত্র ৬.৪। উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসেই তিনবার কেঁপে উঠেছিল নেপাল। নভেম্বর শুরু হতে না হতেই আবার একবার।

নেপাল প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মধ্যরাত্রে ভূমিকম্পের কম্পন শুরু হওয়া মাত্রই বাড়িঘর সব তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। একাধিক আবাসনে চওড়া ফাটলও ধরেছে। এখন সেইসব আবাসনে বাস করাও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে ছিল বহু মানুষ। যারমধ্যে রয়েছে পশ্চিম রুকুম এবং জাজারকোটের বেশকিছু অঞ্চল। এই দুই জায়গাতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে বলে খবর।

আরও পড়ুন : ‘ডিসেম্বর থেকে বন্ধ করে দেব রেশন পরিষেবা’, চরম হুঁশিয়ারি ডিলারদের! বিপাকে সরকার

এই প্রসঙ্গে রুকুম পশ্চিমের প্রশাসনিক কর্তা হরি প্রসাদ পান্ত জানিয়েছেন, ‘‘রুকুম পশ্চিমে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় ভোর ৫টা পর্যন্ত মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’’ মর্মান্তিক এই ঘটনার পর শোক প্রকাশ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল। টুইটার (অধুনা এক্স) অ্যাকাউন্টে শোকবার্তা পোস্ট করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।

আরও পড়ুন : ‘ঘুষের বদলে প্রশ্ন’! মহুয়া মৈত্রর গড় কৃষ্ণনগরে দাঁড়িয়ে একের পর এক তোপ শঙ্কুদেব পান্ডার

 

বয়ানে লেখা হয়, ‘‘শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ জাজারকোটের ভূমিকম্পের কারণে হওয়া মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতির জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল। উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণের জন্য তিনটি নিরাপত্তা সংস্থা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।’’ পাশাপাশি শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি লেখেন, ‘‘নেপালে হওয়া ভূমিকম্পের কারণে প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে গভীরভাবে শোকাহত। নেপালের জনগণের পাশে আছে ভারত। নেপালকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারত। স্বজনহারা পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেই কামনা করছি।’’