৬০ বছর লিভ-ইন! ৯ সন্তান এবং ২০ জন নাতি-নাতনি নিয়ে ৮০ বছর বয়সে বিয়ে সারলেন দম্পতি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বলা হয় যে জন্ম-মৃত্যু এবং বিয়ে এই ঘটনাগুলি পূর্ব নির্ধারিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ, ভাগ্যের লিখনেই একে একে ঘটতে থাকে এগুলি। তবে, জন্ম এবং মৃত্যুর প্রতি কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিবাহ সংক্রান্ত এমন সব ঘটনা সামনে আসে যা দেখে কার্যত অবাক হতে হয়। এমনকি, অত্যন্ত বিরল এই ঘটনাগুলি সামনে না এলে রীতিমত বিশ্বাস করাই কঠিন হয়ে পড়ে। সম্প্রতি ঠিক এইরকমই এক ঘটনা এবার প্রকাশ্যে এসেছে।

আমরা সকলেই জানি যে, বিবাহ হল জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তবে, এর নির্দিষ্ট একটা সময় থাকে। কিন্তু, ৮০ বছর বয়সে নাতি-নাতনিদের নিয়ে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হওয়া বৈবাহিক আসরের কথা আপনি কি কখনও শুনেছেন? হ্যাঁ শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও ঠিক এইরকমই একটি ঘটনা এবার সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, আমাদের দেশের রাজস্থানে ঘটেছে এই বিরল ঘটনা।

জানা গিয়েছে যে, রাজস্থানের উদয়পুর জেলার কোটারার এক দম্পতি দীর্ঘদিন ধরেই লিভ-ইনে ছিলেন। যদিও, সেই সময়টা শুনলে অবাক হবেন যে কেউই। দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে একে অপরের সাথে বসবাস করছিলেন তাঁরা। তাঁদের মোট ৯ ছেলে-মেয়ে এবং ২০ জন নাতি-নাতনিও রয়েছে। এমতাবস্থায়, সকলের উপস্থিতিতে এবার বিয়ে সেরেছেন এই দম্পতি।

মূলত, উদয়পুরের গাউপিপ্লার বাসিন্দা সাকমার বয়স ৮০ বছর। তিনি গত ৬০ বছর ধরে মাথুর সাথে লিভ-ইন-এ বসবাস করছিলেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সাকমার নাতি-নাতনিরা ওই দু’জনের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর সেই মতই ৮০ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওই বৃদ্ধ।

নাতি-নাতনিদের এই অভিনব উদ্যোগের পর, সাকমার পুরো পরিবার ঢোল-ডিজে-র তালে মিছিলের মাধ্যমে গুজরাটের গুনা ভাকরি গ্রামে পৌঁছন। মাথু এই গ্রামেরই বাসিন্দা। সেখানেই সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। এরপরই ওই দম্পতি বর-কনে হিসেবে ফিরে আসেন উদয়পুরে। এদিকে, এই অনন্য বিবাহের অনুষ্ঠানই এখন সমগ্র এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।

pjimage 2022 04 18T105134980 625cf5910c739

গ্রামে এমন রীতি রয়েছে:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটা সম্ভব হয়েছে কারণ উদয়পুরের আদিবাসী এলাকায় বিয়ে ছাড়াই যুবক-যুবতীদের একসঙ্গে থাকার রেওয়াজ রয়েছে। সেখানে যুবক-যুবতীরা তাঁদের স্বাধীন ইচ্ছায় একসাথে বসবাস করেন। এরপর ছেলের পক্ষ থেকে মেয়েটির বাড়িতে কিছু টাকা দেওয়া হয়, যাকে বলা হয় “দাপা”। এই “দাপা”-র সিদ্ধান্ত সামাজিক স্তরে গৃহীত হয়। এরপর তাঁরা একসাথে থাকতে শুরু করেন এবং তারপর যখন খুশি বিয়েও করতে পারেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর