অমিত সরকারঃ পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত হোটেল ব্যবসায়ী, গাইড , জিপ্সি চালকরা জানান, যে আমরা আশাবাদী আজ থেকেই প্রচুর টুরিস্ট আসবে জলদা পাড়াতে । এছাড়াও সামনেই আসছে পুজো। চির সবুজের সাথে একঘর বন্যপ্রাণের হাত ছানিতে পুজোর চুপচাপ চারদিনের ডেসটিনেশন হতেই পারে জলদা পাড়া জাতীয় উদ্যান। উল্লেখ্য, গত রবিবার অর্থাৎ ১৬ জুন থেকে পর্যটকদের জন্য বন্ধ হয়ে গেছিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান (আগে ছিল জলদাপাড়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য) পশ্চিমবঙ্গেরআলিপুরদুয়ার জেলায় পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। সমুদ্রপৃষ্ঠ ৬১ মিটার উচ্চতায় তোর্সা নদীর তীরে অবস্থিত এই অভয়ারণ্যের সামগ্রিক আয়তন ১৪১ বর্গ কিলোমিটার। জলদাপাড়া মূলত নদীকেন্দ্রিক বনাঞ্চলময় একটি সুবিস্তৃত তৃণভূমি। জৈব ও উদ্ভিজ্জ প্রকৃতির বৈচিত্রময় সমাবেশ দেখা যায় এই অভয়ারণ্যে। এগুলির মধ্যে অবলুপ্তপ্রায় একশৃঙ্গ গণ্ডার বিশেষভাবে উল্লেখ্য। এইসব প্রাণী ও উদ্ভিদ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৪১ সালে জলদাপাড়া একটি অভয়ারণ্য ঘোষিত হয়।
৩মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে খুলে গেল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। প্রথম দিনেই পর্যটকদের ঢল নামলো জলদাপাড়াতে। প্রতিবছর জলদাপাড়াতে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের আগমন হয় এই জাতীয় উদ্যানে। জলদাপাড়াতে পর্যটকরা আসেন হাতি সাফারি, কার সাফারি করতে এবং এখানেই আসলে দেখা মিলবে একশৃঙ্গ গণ্ডার, হাতি, বাইসন সহ আরও নানান জীবজন্তু।
এবারের জলদাপাড়েতে পর্যটকদের ঘোরার জন্য ফ্রী কিছুটা বাড়ানো হয়েছে, কার সাফারি ১০০ টাকা বেড়েছে আগে ছিল ১১০০ টাকা এবার হয়েছে ১২০০ টাকা আর গাইড বাবদ ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে গাইড আগে ছিল ২৫০ টাকা এবার থেকে হয়েছে ৩০০ টাকা ।