অভিযোগ,গলায় দড়ি জড়িয়ে বুকে লেথিয়ে খুন করেছে।
সৌতিক চক্রবর্তী,বোলপুর,বীরভূমঃ একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও অতিরিক্ত পণ দিতে না পারায় গৃহবধুকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠলো শ্বশুরবাড়ি লোকজনদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমে পুরন্দপুর গ্রামে। মৃত ওই গৃহবধুর নাম সেলিনা বিবি (২১)। তাকে নৃশংসভাবে
মারধর করায়, মুখে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়,সারা শরীরে ক্ষত হয়ে যায়। এই যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে শ্বশুরবাড়িতেই মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। ঘটনাস্থলে নানুর থানার পুলিশ যান ও মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বেশ কয়েক বছর আগে নানুর থানার অন্তর্গত সাঁওতা গ্রামের বাসিন্দা সেলিনা বিবির সঙ্গে বিবাহ হয় পুরন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আরিফুল শেখের। বর্তমানে তাদের দুটি কন্যা সন্তান আছে। ওদের একজনের বয়স তিন বছর ও আর এক জনের ৯ মাস। বিয়ের চুক্তি অনুযায়ী পণের টাকা দেয় সেরিনার পরিবার। সেরিনার পরিবারের অভিযোগ,“অতিরিক্ত পণের দাবি করতো সেরিনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই পণ না দিতে পারায় আমাদের মেয়েকে নৃশংস ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে সেরিনার স্বামী আরিফুল শেখ, শ্বশুর মিঠু সেখ,দেওর সারিফুল সেখ।” যদিও ঘটনা ঘটার পরেই অভিযুক্তরা পলাতক।
মৃত গৃহবধুর মামা মির বাপন জানায়,“আমার ভাগ্নির জামাই কাজের সূত্রে বাইরে থাকতো। এই ঘটনা ঘটার আগেও ভাগ্নির শ্বশুর,শ্বশুরি,দেওর ওর উপর একাধিকবার চড়াও হয়। এইরকম ঘটনা ঘটলেই ভাগ্নি ওর দিদিমার বাড়িতে চলে আসতো। যেহেতু ও দিদিমার কাছে মানুষ হয়েছে। তারপর আবার সব মিটমাট হয়ে যেতো। কিন্তু আজ গিয়ে দেখি আমার ভাগ্নির ডেডবডি বাইরে শোয়ানো রয়েছে। আমাদের যেটা অনুমান,ওরা গলায় দড়ি জড়িয়ে বুকে লেথিয়ে খুন করেছে। আমাদের দাবি,ওরা যেন চরমতম শাস্তি পায়।” যদিও পুরো ঘটনাটির তদন্তে নেমেছেন নানুর থানার পুলিশ।