বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রথমে ঠিক ছিল- সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘ইনশাল্লাহ’ ছবিতে আলিয়া ভাটের নায়ক হবেন সালমান খান। বলিউডে এই নতুন জুটিকে নিয়ে আলোচনাও হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল সিনেমাটি। কয়েকদিন পর শোনা যায়, পারিশ্রমিক ও লভ্যাংশ নিয়ে সঞ্জয়ের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে এই ছবি থেকে সালমান বেরিয়ে যান।
অথচ পুনের ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করে বলিউডে আসা নবাগত সঞ্জয় লীলা বানসালিকে প্রতিষ্ঠিত হতে একসময় সাহায্য করেন সালমান। তারা প্রথমে করেন ‘খামোশি- দ্য মিউজিক্যাল’। এরপর ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ সঞ্জয়ের ক্যারিয়ার গ্রাফ পাল্টে দেয়। কিন্তু সময় পাল্টেছে। সঞ্জয় এখন পরিচালকের তালিকায় প্রথম স্থানে আছে। তাই তাদের স্বার্থের সংঘাতে থেমে যায় পর্দার চিত্রনাট্য।
কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। আর্থিক লেনদেন নয়, ‘ইনশাল্লাহ’র চিত্রনাট্যে সঞ্জয় এমন কিছু দৃশ্য রেখেছেন যা সালমানের পছন্দ হয়নি। যেখানে নায়কের সঙ্গে আলিয়ার একাধিক লিপলকের দৃশ্য রয়েছে।চিত্রনাট্য শোনার পর সালমান এই দৃশ্যগুলো সঞ্জয়কে বাদ দিতে বলেন। সঞ্জয় তাতে রাজি হননি।
সালমান পর্দায় দাপিয়ে অ্যাকশন করলেও রোমান্স নিয়ে ততটা বোল্ড হতে চান না। বিশেষ করে চুম্বন দৃশ্যের ক্ষেত্রে। সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ক্যাটরিনার সঙ্গেও নয়।
সালমান বেরিয়ে যাওয়ার পর সঞ্জয় ‘ইনশাল্লাহ’র নির্মাণ স্থগিত করবেন বলেও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু প্রি-প্রডাকশনে অনেক টাকা খরচ হওয়ায় পিছিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। ‘ইনশাল্লাহ’ থেকে সালমানের বেরিয়ে আসার পর শোনা গিয়েছিল সঞ্জয় তার ‘দেবদাস’ সিনেমার নায়ক শাহরুখ খানের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তার সঙ্গেও মতের মিল হয়নি। এরপর ‘গুজারেশ’-এর হৃতিক রোশনের নাম শোনা যায়। তবে এখন বলা হচ্ছে, সঞ্জয় তার শেষ তিন ছবির নায়ক রণবীর সিং-এর শরণাপন্ন হয়েছেন।