বাংলা হান্ট ডেস্ক : গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে চরম হেনস্থার শিকার হয় বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়।
ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দেখা যায়, এক ছাত্র চুল ধরে টানছে বাবুল সুপ্রিয়র। গায়ে হাত তোলার চেষ্টাও করা হয় বাবুল সুপ্রিয়র।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় গোটা রাজনীতি।
যাদবপুর কলেজে বাবুল সুপ্রিয় কে নিগ্রহের ঘটনায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ” বাবুলের গায়ে যারা হাত দিয়েছে তাদের হাত কিভাবে ভাঙতে হয় তা আমরা জানি। আজ হোক বা কাল তা আমরা করবই। সে যত বড়ই ছাত্র বা শিক্ষক হোক না কেন! এটা করার ক্ষমতা আমাদের আছে। বেহায়ার বর সীমা ছাড়িয়েছে যাদবপুরের ছাত্ররা।”
বাবুল সুপ্রিয় নিগ্রহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত হুঁশিয়ারির শুর শোনা যায় প্রত্যেক বিজেপি নেতার গলায়। এদিন বিজেপির অন্যতম দাপুটে নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ” যারা বাবুলের ওপর আক্রমণ করেছে তাদের রাস্তায় ফেলে পেটানো উচিত ছিল। আজকে থেকে পেটানো শুরু হবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম ভাঙচুর করার ঘটনাকে সমর্থন করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “১০০ বার ভাঙবে।বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ওখানে দেশদ্রোহিতার শিক্ষা দেওয়া হয়। দরকার হলে কমিউনিষ্টদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেবো।
বাবুলকে নিগ্রহের পরই সন্ধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটে ছাত্র ইউনিয়নের রুমে ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে এবিভিপি ও দুর্গা বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাদের সমর্থন জানালেও দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমার মনে হয় ওরাই এসব করে আমাদের ওপর চাপাচ্ছে। আমাদের কর্মীরা লাঠি নিয়ে গিয়েছেন কারণ দুষ্টু কে দমন করার জন্য কেউ মিষ্টি নিয়ে যান না। যে ছেলেটা বাবুলের চুলের মুঠি ধরে টেনেছে সে যাদবপুরে ছাত্র নয়, সংস্কৃত কলেজের ছাত্র।আমাদের কাছে সব তথ্য রয়েছে।”
এছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ-উপাচার্য কে কটাক্ষ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ” পাশাপাশি, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেও আক্রমণ করে তিনি বলেন,” শুধু এসএফআই এবং নক্শালই নয় টিএমসির সদস্যরাও বাবুলকে গো ব্যাক বলেছে একথা কি অস্বীকার করতে পারবেন পার্থ বাবু! ওর আমলেই শিক্ষাঙ্গন রাজনীতির আখড়া হয়েছে। ”
বাবুল সুপ্রিয় কে হেনস্থার বদলা যে তিলে তিলে নেবে বিজেপি,তা বিজেপি নেতাদের কন্ঠেই স্পষ্ট।