বাংলা হান্ট ডেস্ক: NRC নিয়ে BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আজ বলেন, “রাজ্যে NRC নিয়ে আমরা কিছু করিনি। NRC-কে বাংলায় ইশু করেছেন মমতা ব্যানার্জি।” তার পালটা জবাবে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ছিলেন বাঘ হয়ে গেলেন বিড়াল।” তিনি আরও বলেন, “NRC নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না৷ এরাজ্যে যতদিন মমতা বন্দোপাধ্যায় আছেন ততদিন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শহরে বিজেপি সভাপতি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্ন থেকে মৌখিক ভাবে বিজেপির সদর দফতরে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গেছে যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১ অক্টোবর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এনআরসি নিয়ে সভা করতে আসছেন। এর আগে বহুবার বিজেপি সভাপতি কে রাজ্যসভা করার অনুমতি না দেওয়ায় তৈরি হয়েছিল বহু বিতর্কে, শুধু তাই নয় দিনের পর দিন চলেছে মামলা-মকদ্দমা।
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি খানিক পাল্টেছে, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও বর্তমানে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। শুধু তাই নয় শহরের দুর্গা পুজো উদ্বোধনও করতে পারেন তিনি। অন্যদিকে সোমবার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন বলে, খবর পাওয়া গেছে।
নাগরিক পঞ্জিকা নিয়ে সম্প্রতি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। প্রতিবাদের মেতে উঠেছে বিজেপির বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন যে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হবেন না। এমনকি দিল্লি থেকে ফিরে মমতা বলেন,”অসমের নাগরিকপঞ্জি কংগ্রেসের আমলে শুরু হয়েছিল।”
সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী কে রাজ্যে দেউচা পাঁচামি কয়লাখনির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন মমতা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আলোচনা পর্ব চলার পর মমতা বেরিয়ে এসে বলেছিলেন, “NRC অসমের বিষয়।”
দিল্লি সফরে গিয়ে শুধু প্রধানমন্ত্রী নয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি নিয়ে কোনরকম কথা হয়নি বৈঠকে। অসমে ১৯ লক্ষ মানুষ বাদ পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলা, হিন্দিভাষী ও গোর্খারা। ভারতীয়দের যেন সুযোগ দেওয়া হয়।”
শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ”এনআরসি-র জন্য বলতে গেলাম। বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে পড়ে। তাই বলে এলাম দিল্লি গিয়ে।” অন্যদিকে বাংলায় ভোটার তালিকায় নাম তোলা ও ডিজিটাল রেশন কার্ড নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে সর্বত্র। এই প্রসঙ্গে সকলকে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা যে যে যে বাংলায় কোনওভাবেই এনআরসি চালু হবে না।
রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন যে, মমতার এই দিল্লি সফর বিজেপি তৃণমূলের খানিক মৈত্রীর ইঙ্গিত হতে পারে, আর তার সূত্র ধরেই অমিত শাহ কে শহরে সভা করার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার।