বাংলা হান্ট ডেস্ক : বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় প্রবেশ করা মাত্রই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে৷ হাতাহাতি ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বাবুল সুপ্রিয় সমর্থকরা এবং ছাত্র যুব সংগঠন৷ বাবুল সুপ্রিয়কে মারধরের অভিযোগ ওঠে অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে৷ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে হেনস্থার প্রতিবাদে সরব হয়েছে গোটা দেশ৷ সামাজিক মাধ্যম থেকে সংবাদ মাধ্যম একে একে শিল্পীরা ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন৷ সেই তালিকায় ছিলেন বাচিকশিল্পী ঊর্মিমালা বসু৷
এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সমর্থনে মুখ খুলে কদর্য আক্রমণের শিকার হতে হল তাঁকে৷ সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে যৌনদাসী বলেই কটাক্ষ করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই ঊর্মিমালা বসুর ট্রোলড হওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছে রাজ্যের সংস্কৃতি মহল৷ গুণীজনেরা নিজেদের ভাষায় কখনও কবিতার মাধ্যমেই কখনও লেখনি দিয়ে উর্মিমালা বসুর কটাক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এমন কী বাচিকশিল্পী ঊর্মিমালা বসু ও এফআইআর দায়ের করেছেন৷
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার এবিভিপির নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা সঙ্গীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়, সেখানে বামপন্থী ছাত্রছাত্রীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ এর পরেই শুরু হয় মারামারি৷ এবিভিপি ও এসএফআই ঘটনায় ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে এমনকি গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অশান্তির আঁচ ছড়ায় আর এর জেরে ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ান বাচিকশিল্পী ঊর্মিমালা বসু৷
ঠিক তখনই ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে ঊর্মিমালা বসু বাবুলের উচিত বাচ্চাগুলোর কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া আর তার জেরে পাল্টা ঊর্মিমালা বসুকে যৌন দাসী বলে কটাক্ষ শুনতে হয়, এমনকি বাবুল সুপ্রিয়র কাছ থেকেও ক্ষমা চাইতে বলা হয় তাঁকে৷ ছাত্রাছাত্রীদের কটাক্ষের বিপরীতে গিয়ে বাবুল শিল্পীর কাছ থেকে নিজেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন৷ বিষয়টি একেবারেই কাম্য নয় বলে দাবি তাঁর৷