বাংলা হান্ট ডেস্ক: মেঘ রোদ্দুর উকি ঝুঁকি খেলুক, যতই মেঘলা আকাশ ঝরাক বরিষ ধারা। কিন্তু তাও, বাঙালির কাছে একটাই সত্যি এখন, পুজো আসছে। আর মাত্র কয়েক দিন। তারপরই বেজে উঠবে ঢাকের বাদ্যি। তাল মেলাতে তৈরি বাঙালিও। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সেজে উঠছে মণ্ডপ, শহর কলকাতা মুড়ে যাচ্ছে আলোর রোশনাই তে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে, চলছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। কোথাও থিম, কোথাও বারোয়ারি। কোথাও বা ঐতিহ্য মাখানো বাড়ির পুজো। থিমের দিকে ঝোঁক যতই থাকুক না কেন বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য মাখা গন্ধর মেজাজ থাকে আলাদা রকম। বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা এইসব বনেদি বাড়ির পুজোয় থাকে নানা ইতিহাস, নানান ঘটনার সাক্ষী থাকে এইসব বাড়ির পুজো। থাকে আবেগে জড়ানো পুজোর টান।
এমনই এক ঐতিহ্যবাহী পুজো মেদিনীপুরের নন্দী বাড়ির পুজো।৩৫০ বছর আগেকার করা। বাড়ির জৌলুসে আলোকিত হতো পুরো গ্রাম। পুজোর কটা দিন আনন্দে হইচই তে গমগম করত নন্দী বাড়ি। পুজো হত আড়ম্বর করে, এই বাড়ির পুজোয় জাকজমক মানুষকে ধাঁধিয়ে দিত। কিন্তু এখন এসব কিছুই নেই। এই বাড়ি যেন এক বোঝার মতন স্থানীয়দের কাছে। জৌলুস, আড়ম্বর সেসব এখন কিছু নেই ঠিকই কিন্তু পুজোটা এখনও হয় নিয়ম মেনে।৩৫০ বছর আগে বর্ধমানের জমিদার রমচাদ নন্দী এই পুজো শুরু করে। আদি বাড়ি বর্ধমানে,পরে ওড়িসা তারপর সেখান থেকে মেদিনীপুরের চিনি মারসাই এলাকায় থাকতে শুরু করেন তিনি। সেই সময় তার প্রভাব প্রতিপত্তি বেশ ভালোই ছিল।কিন্তু এখন সেসব নেই, হাত ছাড়া হয়ে গেছে সম্পত্তিও , তারপর মূল্যবৃদ্ধি। সব মিলিয়ে অনেক নিয়ম বাতিল হলেও এখনও আছে সেই পুজো, আকরে ধরে স্মৃতি।