বাংলা হান্ট ডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আগে থেকে অর্থাত্, 5 আগষ্টের আগে থেকেই কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল। একইসঙ্গে জারি হয়েছিছল বিধিনিষেধ। তাই কার্ফিউ জারি থেকে ইন্টারনেট ও ল্যান্ড মাইন পরিষেবা, ডিটিএইচ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পাকিস্তান সরব হয়েছিল। আগামী অক্টোবর থেকেই কাশ্মীরে লাগু হবে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সুবিধা। আর্থাত কাশ্মীর ও লাদাখ দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগেই কাশ্মীরের ওপর থেকে সমস্ত বিধি নিষেধ তুলে নেওয়া হল। স্বাভাবিক হল সাধারণ জনজীবন।
তবে শান্তি রক্ষার্থে নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন রেখেছিল ভারত। এবং কড়া নিরাপত্তায় রেখেছিল প্রশাসন। অবশেষে 22টি জেলা থেকে তুলে নেওয়া হল বিধিনিষেধ। শনিবার সকাল থেকেই সচল হল পরিস্থিতি। যদিও আগষ্টের শেষ সপ্তাহ থেকে কাশ্মীরের বেশ কিছু জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। স্কুল কলেজ ও অফিস আদালত খুলেছিল। কিন্তু শনিবার থেকে 22টি জেলার ওপর নিষেধাজাঞ্ তুলে নেওয়ার পর থেকে এবার উপত্যকার সমস্ত স্কুল কলেজ ও অফিস খুলে দেওয়া হল। সোমবার থেকে কাজ শুরু হবে।
370 ধারা প্রত্যাহার করার পর বিশেষ করে লাদাখ ও জম্মুর বেশ কয়েকটি এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে এবার পরিস্থিতি আগের মতো হল। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে যথেষ্টই খুশির হাওয়া উপত্যকা জুড়ে। উত্সবের মরশুমে জনজীবন আবারও সচল হল। তবে সেখানে ভ্রমনের ওপরও নেই কোনো নিষেধাজ্ঞা।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভাগ হওয়ার সময় আবারও আশ্নিতর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে প্রশাসন। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে সকলেই।