বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাধারণ ভাবে দেশে গোহত্যার জন্য মুসলিমদের দায়ি করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই দেশে এমনও এক মুসলিম আছে, যিনি গোরক্ষার জন্য গোটা দেশের সফরে বেরিয়েছেন। ফৈজ খান নামের এই গোরক্ষক দাবি করে বলেন, ইসলামেও গরুর মহত্ব স্বীকার করা হয়েছে। আর মুঘল বাদশাহ এর আমল থেকে গরুদের আইনি সংরক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। গসৎভাবনা যাত্রায় আজমের পৌঁছে মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় ইসলামে গরুর মহত্ব নিয়ে চর্চা করেন তিনি।
অনেকেই ফৈজ খানকে হিন্দুত্ববাদি বলে মানেন, কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ ভাবে মুসলিম। আর গোমাতার প্রতি ওনার ভালোবাসা এতটাই যে, বড় বড় গোরক্ষক ওনার সামনে দাঁড়াতে পারবেনা। শুধুমাত্র গরু রক্ষা করার সংকল্প নিয়ে ফৈজ খান বিগত ২৭ মাস ধরে দেশের প্রতিটি শহর, গ্রাম আর এলাকায় যাচ্ছেন। ওনার সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তি হিন্দু হোক আর মুসলিম, এনার কিছু যায় আসেনা। উনি সবাইকে গরুর মহত্ব সমন্ধ্যে জানিয়ে তাঁদের গোরক্ষা করার সংকল্প দেওয়ায়।
ফৈজ জানান যে, গরুর সেবা করার মহত্ব উনি ইসলাম থেকেই জেনেছেন। কুরানের উল্লেখ করে উনি বলেন, কুরানের একটি গোটা অধ্যায় গোরুর উপর সমর্পিত। কুরআনে সুরা-এ-বকর নামের একটি অধ্যায়ে গরুর মহত্ব জানানো হয়েছে। উনি বলেন, ওই অধ্যায় অনুযায়ী, পয়গম্বর মুহম্মদ সাহেবের কাছে গরুর দুধ খুব প্রিয় ছিল। ফৈজ খান অনুযায়ী, মুঘল বাদশাহ গরুর মহত্ব বুঝে দেশে গরু রক্ষার জন্য আইন বানিয়েছিলেন। খান জানান, ওনার এই যাত্রা ২৪ জুন ২০১৭ সালে লাদাখ থেকে শুরু হয়েছিল। তখন জম্মু কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা চলত। আর উনি ওই কাশ্মীরে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে যাত্রার সমাপ্তি করবেন।