আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। প্রায় প্রতিটি হিন্দু গৃহস্থ পরিবারে আজ মহাসমারোহে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা চলছে। সন্ধ্যা বেলায় কোনও কোনও বাড়িতে দেবী লক্ষ্মী প্রতিমা কিংবা কোনও বাড়িতে আবার লক্ষ্মীদেবীর পটকে পুজো করা হচ্ছে। বিশেষ করে বাঙালিদের মধ্যে এই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর একটা বিশেষ রীতি দেখা যায়। তবে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে কোনও প্রতিমা নয় বরং নিজের মেয়েকে দেবীর আসনে বসিয়ে, দেবী লক্ষ্মীর মতো সাজিয়ে পুজো করলেন নদিয়ার এক স্কুল শিক্ষক।
কন্যা সন্তান অবহেলার পাত্রী নয়, কন্যা সন্তানকে পুত্রবধূ হিসেবে এনে তাঁকে যেন সমাজের অত্যাচারিত না হতে হয় এই বার্তা দিতেই নদিয়ার ওই শিক্ষক এক অনন্য নজির গড়েছেন। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস গ্রামের ওই স্কুল শিক্ষক শাস্ত্র মতে পুরোহিত ডেকে এবং রীতিমতো পুজোর আয়োজন করে তাঁর পাঁচ বছরের মেয়েকে পুজো করেছেন।
রবিবার ছুটির দিনে কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমায় ওই শিক্ষক এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা এক ব্যতিক্রমী লক্ষ্মীপুজোয় মেতে উঠেছিলেন। এই পরিবারে পুজো করতে আসা পুরোহিত জানিয়েছেন, যেহেতু মেয়েরা মা লক্ষ্মীর একটি জাত তাই শাস্ত্র মেনেই শিশু কন্যাকে পুজো করা হয়েছে।
সমাজে যেভাবে নারী নির্যাতন বেড়ে চলেছে তার প্রতিবাদ করতেই এই অভিনব লক্ষ্মী পুজোয় মেতে উঠেছিলেন ওই শিক্ষক। নদিয়ার শিব গ্রামে ওই শিক্ষক তথা রমেশ চন্দ্র বিশ্বাসের শ্বশুর বাড়ি। রবিবার তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে রূপকথাকে লক্ষ্মী দেবীর মতো সাজিয়ে পুজো করেছেন তাঁরা।
আর এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ওই শিক্ষক জানিয়েছেন সমাজে কিংবা শ্বশুরবাড়িতে মেয়েদের যে ভাবে নানা ভাবে অত্যাচারিত হতে হচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন পাশাপাশি সমাজে যাতে কোনও নারীকে অত্যাচারিত না হতে হয় এবং মেয়ে কি অবহেলা না করা হয় তাঁর বার্তা দিতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানান রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস। তবে রমেশ চন্দ্র বাবুর স্ত্রী জানিয়েছেন তাঁদের বড় মেয়ে অর্থাত্ রূপকথার জনমের পর তাঁদের সংসারের আয় উন্নতি অনেক বেড়ে গিয়েছে আর তাতেই মেয়েকে লক্ষ্মী দেবী রূপে পুজো করলেন তাঁরা।
[contact-form][contact-field label=”Name” type=”name” required=”true” /][contact-field label=”Email” type=”email” required=”true” /][contact-field label=”Website” type=”url” /][contact-field label=”Message” type=”textarea” /][/contact-form]
আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। প্রায় প্রতিটি হিন্দু গৃহস্থ পরিবারে আজ মহাসমারোহে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা চলছে। সন্ধ্যা বেলায় কোনও কোনও বাড়িতে দেবী লক্ষ্মী প্রতিমা কিংবা কোনও বাড়িতে আবার লক্ষ্মীদেবীর পটকে পুজো করা হচ্ছে। বিশেষ করে বাঙালিদের মধ্যে এই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর একটা বিশেষ রীতি দেখা যায়। তবে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে কোনও প্রতিমা নয় বরং নিজের মেয়েকে দেবীর আসনে বসিয়ে, দেবী লক্ষ্মীর মতো সাজিয়ে পুজো করলেন নদিয়ার এক স্কুল শিক্ষক। কন্যা সন্তান অবহেলার পাত্রী নয়, কন্যা সন্তানকে পুত্রবধূ হিসেবে এনে তাঁকে যেন সমাজের অত্যাচারিত না হতে হয় এই বার্তা দিতেই নদিয়ার ওই শিক্ষক এক অনন্য নজির গড়েছেন। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাস গ্রামের ওই স্কুল শিক্ষক শাস্ত্র মতে পুরোহিত ডেকে এবং রীতিমতো পুজোর আয়োজন করে তাঁর পাঁচ বছরের মেয়েকে পুজো করেছেন। রবিবার ছুটির দিনে কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমায় ওই শিক্ষক এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা এক ব্যতিক্রমী লক্ষ্মীপুজোয় মেতে উঠেছিলেন। এই পরিবারে পুজো করতে আসা পুরোহিত জানিয়েছেন, যেহেতু মেয়েরা মা লক্ষ্মীর একটি জাত তাই শাস্ত্র মেনেই শিশু কন্যাকে পুজো করা হয়েছে। সমাজে যেভাবে নারী নির্যাতন বেড়ে চলেছে তার প্রতিবাদ করতেই এই অভিনব লক্ষ্মী পুজোয় মেতে উঠেছিলেন ওই শিক্ষক। নদিয়ার শিব গ্রামে ওই শিক্ষক তথা রমেশ চন্দ্র বিশ্বাসের শ্বশুর বাড়ি। রবিবার তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে রূপকথাকে লক্ষ্মী দেবীর মতো সাজিয়ে পুজো করেছেন তাঁরা। আর এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ওই শিক্ষক জানিয়েছেন সমাজে কিংবা শ্বশুরবাড়িতে মেয়েদের যে ভাবে নানা ভাবে অত্যাচারিত হতে হচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন পাশাপাশি সমাজে যাতে কোনও নারীকে অত্যাচারিত না হতে হয় এবং মেয়ে কি অবহেলা না করা হয় তাঁর বার্তা দিতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানান রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস। তবে রমেশ চন্দ্র বাবুর স্ত্রী জানিয়েছেন তাঁদের বড় মেয়ে অর্থাত্ রূপকথার জনমের পর তাঁদের সংসারের আয় উন্নতি অনেক বেড়ে গিয়েছে আর তাতেই মেয়েকে লক্ষ্মী দেবী রূপে পুজো করলেন তাঁরা।