বাংলা হান্ট ডেস্ক : কাশ্মীর মানেই ভারতের ভূস্বর্গ। কিন্তু হঠাৎ এই কাশ্মীর এতদিন কি অশান্ত ছিল? ৩৭০ ও 35a বিলোপের পর থেকেই কাশ্মীরের মধ্যে একটা গম্ভীর মেঘ যেন দানা বেঁধে আছে। বারবার বিরোধীদের বক্তব্যে তাই উঠে আসছে। কিন্তু মোদি সরকার বারবার বলেছেন যে কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং সামঞ্জস্য পূর্ণ। আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও কাশ্মীর নিয়ে কোন গোল নেই। পাকিস্তান বারবার এই কাশ্মীর কে কেন তাদের পাখির চোখ করে তুলেছে?সেনা সূত্রের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের পীর পাঞ্জালের দক্ষিণে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় বেশিরভাগ হামলা হচ্ছে। পাকিস্তানি বাহিনী রীতিমতো পরিকল্পনা করেই সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষকে নিশানা করছে।
এ নিয়ে গত ১ অক্টোবর দু’পক্ষের ব্রিগেডিয়ার স্তরের বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি উল্লেখ করে পাক সেনাবাহিনীতে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ভীমবার গালি, বালাকোট, সান্দোট ও বেহরোটের মতো সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলো থেকে ইতোমধ্যেই ১২২ জন শিশুকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বারবার কেন এই অঞ্চলগুলিতে পাকিস্তান হানা দিচ্ছে এতে কি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জাতিভেদ প্রথা? তাদের মধ্যে একটা বড় আকারে কাজ করছে। কিন্তু এর বদলা নেবার জন্য মুহুর্মুহু আক্রমণ চালাচ্ছে সেনা। তারা তাদের নিজের জীবন দিয়ে দিচ্ছেন দেশের জন্য। অমিত সাহা থেকে রাজনাথ সিং প্রত্যেকে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন যে কোনরকম আক্রমণ তিনি বরদাশ্ত করবেন না। দরকার হলে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে এয়ার স্ট্রাইক এর মতো পুনরায় আক্রমন চালাতে পিছপা হবেন না।