বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাংস্কৃতিক মন্ত্রালয় নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরী (NMML) সোসাইটির পুনর্গঠন করল। নেহেরু মিউজিয়াম সোসাইটি থেকে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, করণ সিং আর জয়রাম রমেশকে বাইরের রাস্তা দেখানো হয়েছে। কংগ্রেস নেতাদের জায়গায় এবার বিজেপি নেতা অনির্বাণ গাঙ্গুলি, গীতকার প্রসূন জোশি আর পত্রকার রজত শর্মাকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। এই সোসাইটির সভাপতির দ্বায়িত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম আর লাইব্রেরীকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহেরুর স্মরণে বানানো হয়েছিল।। এই সোসাইটির সহ সভাপতির পদে এখন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আছে। আরেকদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন আর পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাবেড়কর এই সোসাইটির সদস্য রুপে আছে। ৫ই নভেম্বর সংস্কৃতি মন্ত্রালয় থেকে জারি হওয়া নোটিফিকেশনের পর, এই মামলা নিয়ে কংগ্রেস আর ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে চরম রাজনীতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজে নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরীর সভাপতি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই সোসাইটির সহ সভাপতি, আর প্রকাশ জাবেড়কর এবং অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এই সোসাইটির সদস্য। বিগত কয়েক বছর ধরে বিজেপি আলাদা আলাদা মামলায় নেহেরু আর ওনার ঐতিহ্য নিয়ে শুধু প্রশ্নই তোলেনি, বরাবর আক্রমণ ও করে গেছে।
আর সেই জন্য নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরী থেকে কংগ্রেসের সদস্যদের বাইরের রাস্তা দেখানো জন্য বিতর্ক বাধতে পারে। আপাতত রাজনীতি আর ভারত থেকে কংগ্রেস মুক্ত করতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু কংগ্রেসের সবথেকে বড় নেতাদের মধ্যে একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহেরু এর ঐতিহ্যকে কংগ্রেস মুক্ত করে দেওয়া গেছে।