অমিত সরকারঃআমাদের বর্তমান সমাজ বিভিন্ন প্রথার শিকার। মধ্যযুগের ছিল দাস ব্যবসায়ীদের রমরমা বাজার। কখনো ক্রীতদাসদের রমরমা বাজার। কখনো জমিদার বা জোরদার মালিকদের ছিল অকথ্য অত্যাচার। তার থেকে রেহাই পায়নি আবালবৃদ্ধবনিতা। কিন্তু তার মধ্যেই একটি নিয়ম আজও শিউরে উঠে। দাঁড়িয়ে যায় গায়ের লোমের শিরা। আপনার আমার ঘরের শিশুরা দিব্যি পিঠে ব্যাগ এর বোঝা নিয়ে গাদি গাদি বই জলের বোতল নিয়ে মাম্মি ডেডি বলতে বলতে ঘর ছাড়ে। বিদ্যালয়ে যায় আবার ফিরে আসে নিজের ভঙ্গিতে। ঠিক তখনই রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকে অপর একশিশু। শিশু, যার চোখে অপূর্ণ তার ছবি পেটে খিদা আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে, হাতে ধরা পড়ে নির্মম যেন তার ইতিহাস সাক্ষী। উস্কোখুস্কো চুল এলোমেলো সব হাওয়ায় উড়তে আছে। গায়ে ধুলোবালি মাখা শিশুটি পথের প্রান্তে শুধু দাবি জানায় “আমরা শিশু আমরা বাঁচতে চাই আমরা বিদ্যালয়ে যেতে চাই আমরাও শিক্ষার প্রতি হতে চাই” কিন্তু সমাজ তাকে স্বীকৃতি কতটা দেবে তা আজও আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে । কিন্তু এর থেকে নির্মূল হবার কোন উপায় নেই? হ্যাঁ; আছে। যদি বলেন সেসব উপায় কি? তবে নিশ্চয়ই সবাই পালন করা আমাদের কর্তব্য
প্রথমতঃ জনসংখ্যাকে কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে। আগামী শতাব্দীর শুরুতে ভারত চীনকে ছাড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা।
দ্বিতীয়তঃ ছেলে ও মেয়ের ভেদাভেদ রোধ করতে হবে যার জন্য শিক্ষার প্রয়োজন।
তৃতীয়তঃ মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। গৃহকর্তা সেই চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন অবশ্যই দরকার। নিজের সন্তানের মত অন্য সন্তানের প্রতি স্নেহ রাখা দরকার।
চতুর্থতঃ শিশুশ্রমের যে আইন রয়েছে তাকে যথাযথ উপায় পালন করা উচিত ।
পঞ্চমতঃ সরকার ভোটের দিকে না তাকিয়ে এসব বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া খুবই দরকার ।
ষষ্ঠতঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে এবং অন্যান্য বিদ্যালয়গুলিতে শিশুদেরকে বিদ্যালয় যাতে মাঝপথে ত্যাগ না করে সেজন্য সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
সপ্তমতঃ প্রতিকূল পরিবেশ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যে সমস্ত শিশুরা নিজেদের দিন কাটায় তাদেরকে যথাযোগ্যভাবে লালন-পালনের ব্যবস্থার জন্য সরকারের নজর দেওয়া উচিত।
অষ্টমতঃ বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে সেখানে সচেতনতামূলক কিছু বিষয় প্রদান করা দরকার।