বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রায় এক দশক ধরে রাজ্যে তৃণমূল যে ভাবে নিজেদের দাপট অব্যাহত রেখেছে তাতে লোকসভা নির্বাচনের পর কিছুটা হলেও থমকে গিয়েছে, বিশেষ করে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে বিজেপি যখন এগিয়ে গেছে ঠিক তখনই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শাসক শিবিরের কপালে। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে একেবারে কান ঘেঁষে বেরিয়েছে গেরুয়া বাহিনীর ফলাফল।
তাই ভোটের শতাংশ বাড়লেও আসুন কমা নিয়ে কিন্তু বেশ খানিকটা হলেও চিন্তিত তৃণমূল তাই একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে চেয়ে ভোটের রণনীতি সাজানোর জন্য ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছে তৃণমূল। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরভোট এবং বিধানসভা উপনির্বাচন রয়েছে, তাই বিধানসভা উপনির্বাচনকে প্রথম পরীক্ষা হিসেবে দেখে বড়সড় চমক প্রশান্ত কিশোরের।
তাই তো এই প্রথম বার উপনির্বাচনে ইস্তেহার প্রকাশ করেছে তৃণমূল। একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক ইস্তেহারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। খড়্গপুর সদর বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য ইস্তেহার পত্র প্রকাশ করা হয়েছে অনেক আগেই তবে এবার করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জের জন্যেও ইস্তেহার পত্র প্রকাশ করা হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।আর এই ইস্তেহার পত্র প্রকাশের জন্যই আগে থেকে বুথ সমীক্ষা করে ফেলেছে প্রশান্ত কিশোরের দল
তার পরেই তৈরি হয়েছে আই প্যাক ও পৃথক ইস্তেহার। যেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্থানীয় কিছু সমস্যা, সমাধান এসবকে স্থান দেওয়া হয়েছে। কারণ এক দিকে শাসক শিবির যেমন উপ নির্বাচনে ভাল ফল করতে চাইছে ঠিক তেমনই প্রথম পরীক্ষাতেই ভাল ফল করতে চাইছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা।