বাংলা হান্ট ডেস্ক : অনেক লড়াই অনেক বিতর্কের শেষে সোমবার মধ্যরাতে পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। সোমবার লোকসভায় বিল পাশের অনেক আগে থেকেই বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। এমনকি কম বিরোধিতাও হয়নি। সোমবাল অমিত শাহের বিলটি লোকসভায় পাশের পর থেকেও কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী থেকে শুরু করে সৌগত রায়রা
একবাক্যে বিরোধিতার সুর গেয়েছিল।
কিন্তু টানা বারো ঘন্টার লড়াইয়ের শেষে যুদ্ধ জয়ের মতো লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাত্ একপ্রকার শেষ হাসি হেসেছে বিজেপিই। সোমবার সংসদ চত্বর যেমন উত্তপ্ত হয়েছিল ঠিক তেমনি দেশের উত্তর পূর্ব প্রান্ত অর্থাত্ অসম সহ ত্রিপুরাতেই বিক্ষোভের আঁচ পড়েছিল।
সকলেই নাগরিকত্ব সংশোধনীর বিরোধী ছিল। আসলে এই বিল রাজ্য সভায় পাশ হলেই আইন প্রণয়ন হবে। তাহলে আফগানিস্থান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের মধ্যে যারা কমপক্ষে পাঁচবছর ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে আছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অথচ স্থান নেই অহিন্দুদের। অর্থাত্ মুসলিমদের। আর তাই নিয়েই যত সমস্য়া।
এমনকি বিরোধিদের বিরোধিতার অন্যতম কারণ, এই অহিন্দুদের স্থান না দেওয়া। এমনকি সাসংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বিলের কাগজ ছি্ঁড়ে ফেলেদেন। পাশাপাশি মুসলিমদের প্রতি এত ঘৃণা কেন আপনাদের এমন প্রশ্ও তলোনে। যদিও অমিত শাহ বার বার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ভারতের মুসলিমদের ওপর প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছিলেন।
তবে মুসলিমদের স্থান নেই কেন, এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিযে অমিত শাহ বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ, আফগানিস্থান ও পাকিস্তানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু তাই তাঁদের এদেশে নাগরিক্তব দেওয়ার ব্যাপারে সংশোধনী বিলে স্থান রয়েছে। এবং সংখ্যালঘুদের কথাই এখানে বলা রয়েছে। সোমবার সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকলকে অভয় দিয়ে বললেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর নাগরিকত্ব পেতে গেলে কোনও রকম রেশন কার্ড বা অন্যান্য সূচিপত্রের প্রয়োজন পড়বে না।
তাই তো শরণার্থী হিন্দু জৈন খ্রিস্টান বৌদ্ধ পার্সি শিখ সকলেই নাগরিকত্ব পাবেন। একই সঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বহু রাজনৈতিক দল অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তাই কোথাও কোথাও নাকি নাগরিকত্ব পেতে গেলে রেশন কার্ড জন্মপত্রিকা লাগবে বলে প্রচার করা হয়েছে এটা শুধুমাত্র একটি প্রচার এমনটাই বলা হয়েছে।পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী মাধ্যমে কোনও ভাবেই কোনও ভারতীয়কে বাদ দেওয়া যাবে না।