বাংলা হান্ট ডেস্ক : সোমবার লোকসভায় অনেক যুদ্ধের পর পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। তবে সোমবার লোকসভায় বিলের খসড়া প্রস্তাবের অনেক আগে থেকেই উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে অসমে আসুর নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদ শুরু হয়।
তাই তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।সোমবার লোকসভায় বিল পাশ হওয়ার পার থেকে অসমে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার। তাই উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে টানা ১১ ঘন্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাই অরুনাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরায় বনধ চলছে।
বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে অসমের ডিব্রুগড় থেকে শুরু করে বিবিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে সাধারণ মানুষ। বাতিল হয়েছে একাধিক বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পরীক্ষা। অশান্তির কথা মাথায় রেখে অসমের লখিমপুর ও সনিতপুরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
গত সপ্তাহের বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নাগরিক কত সংশোধনী বিলের খসড়া পেশ করেন তাই মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র পাওয়ার পর লোকসভা ও রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশনেই বিলটি পাশ করা নিয়ে কার্যত উঠে পড়ে লেগেছিল কেন্দ্র।যদিও এনআরসি যখন চালু করা হয় ঠিক তখনই বিজেপি নেতৃত্বরা সিটিজেন শিপ অ্যামিউজমেন্ট বিল আনার দাবি জানিয়েছিল।
যদিও বিরোধীদের একটাই দাবি নাগরিকত্ব বিল পাস হলে সংখ্যালঘু সমাজে বড়সড় অসন্তোষ দেখা দেবে। যার জেরে অনেক হিন্দু নাগরিকত্ব খুইয়ে শরণার্থীদের খাতায় নাম লেখাতে বাধ্য হবেন আর তাই এই বিল খারিজ নিয়ে দাবি জানাবে তৃণমূল।