বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত সপ্তাহের সোম এবং বুধবার লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এর পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়ে তা আইনে পরিণত হয়েছে।নাগরিকতা সংশোধনী আইনের মূল কথা হল পাকিস্তান বাংলাদেশ আফগানিস্তান থেকে আসা সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়া। তাতেই কেন মুসলিমদের জায়গা নেই? এ নিয়ে রাজ্যসভা এবং লোকসভায় একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
তাই তো দেশ জুড়ে শুধুই বিতর্ক এবং সমালোচনা। কোনও অসম কখনও ত্রিপুরা কখনও মেঘালয় আবার পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লি সর্বত্রই এই আইনের বিরোধিতার ঝড় উঠেছে। কিন্তু এমত অবস্থায় কেন্দ্রের আনা নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে সমর্থন জানাল পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম বুদ্ধিজীবী মহল। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে যেভাবে শুক্রবার থেকে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ রেল অবরোধ করে রাস্তা অবরোধ করে হিংসাত্মক আক্রমণের মাধ্যমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে
সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম বুদ্ধিজীবী মহলের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে যে কোনও ধরনের হিংসাত্মক আন্দোলন বন্ধ করার নির্দেশ দেয় পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে কারও নাগরিকত্ব হরণ করা হবে না, তারা জন্মসূত্রেই বংশপরম্পরায় ভারতের নাগরিক তাদের সঙ্গে কখনও নাগরিকত্ব আইন বেইমানি করবে না এমনটাই বলা হয়েছে।
পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সঙ্গে ভারতের মুসলমানদের নাগরিকত্ব থাকা বা না থাকার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করা হয়েছে সেই বিবৃতিতে।একই সঙ্গে বিজেপি বা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি শুক্রবার থেকে রাজ্যে যে হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু হয়েছে তার মাধ্যমে ফায়দা তুলবে বলেও মত প্রকাশ করেছে ওই মুসলিম বুদ্ধিজীবী মহল। এর সঙ্গে বিজেপি আর আরএসএস ক্ষমতায় এলে তাঁদের নাগরিকত্ব সত্যি সত্যিই কেড়ে নেবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
(বিঃদ্রঃ -লেখাটির মধ্যে একটি স্থানে অহিন্দু আর অর্থাৎ বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ এর পরিবর্তে, হিন্দু লেখা হয়ে গেছিল টাইপ মিস্টেকের কারনে, আমরা খুবই দুঃখিত, আমরা প্রতিটি পাঠকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী )