বাংলাহান্ট ডেস্ক: করিশ্মা কাপুর ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুরের বিবাহিত জীবন ও বিচ্ছেদ সম্পর্কে অনেকেই অবগত। ২০০৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন করিশ্মা ও সঞ্জয়। ১৩ বছর সংসার করার পর ২০১৬ তে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। একথা সকলেরই জানা। কিন্তু এই বিচ্ছেদের নেপথ্য কারণ কী ছিল? সম্প্রতি সামনে এসেছে সেই বিষ্ফোরক তথ্য। ফাঁস করেছেন করিশ্মার আইনজীবী ক্রান্তি সাথে।
জানা গিয়েছে, করিশ্মার স্বামী শারীরিক অত্যাচার চালাতেন তাঁর ওপর, মারধর করতেন। কিন্তু গায়ের কালশিটে মেকআপের পরত দিয়ে ঢেকে রাখতে হত করিশ্মাকে। কারণ তিনি অভিনেত্রী। ঘরের কেচ্ছা বাইরে প্রকাশ হয়ে পড়া ঠিক নয়। কিন্তু শেষমেষ তাঁরও ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। ফল ২০১৬র বিচ্ছেদ। করিশ্মার আইনজীবীর কথায়, “করিশ্মার ছেলের তখন মাত্র ছয় মাস বয়স। তার ওপর অসুস্থ। সেই সময় স্বামী সঞ্জয়ের সঙ্গে আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু অসুস্থ ছেলেকে ফেলে করিশ্মা যেতে না চাওয়ায় সঞ্জয় রেগে একাই চলে যান। পরে ছেলে সুস্থ হলে করিশ্মাও যান সেখানে। এমন বহুবার রয়েছে যে সঞ্জয় রাতে হোটেলে ফেরেননি। জানানওনি কোথায় গিয়েছেন। ছেলের প্রতিও কোনও পিছুটান ছিল না তাঁর। এমনকি তাঁদের মধুচন্দ্রিমার সময় নাকি সঞ্জয় নিজের ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন করিশ্মা কত টাকা আয় করে আনবেন।”
করিশ্মার আইনজীবী আরও জানান, একবার করিশ্মাকে সঞ্জয় তাঁর মায়ের দেওয়া একটি জামা পরতে বলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা থাকায় তাঁর গায়ে ফিট হচ্ছিল না জামাটা। তখন সঞ্জয় রেগে তাঁর মাকে চড় মারতে বলেন করিশ্মাকে। এমনকি মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিজের এক বন্ধুর সঙ্গে করিশ্মাকে ‘বিশেষ’ ভাবে মেশার কথাও বলেছিলেন সঞ্জয়।
অপরদিকে সঞ্জয়ের আইনজীবী অভিযোগ করেন, সঞ্জয়ের টাকার জন্যই নাকি তাঁকে বিয়ে করেছিলেন করিশ্মা। তাঁর এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে করিশ্মার বাবা রণধীর কাপুর মন্তব্য করেন, তাঁরা কাপুর পরিবার। টাকার অভাব নেই তাঁদের সংসারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, করিশ্মার সঙ্গে বিবাহিত থাকা সত্ত্বেও অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সঞ্জয়ের। মেয়ের এই বিয়েটা যে তিনি মেনে নেন নি তখন সেটাও জানান রণধীর কাপুর।