বাংলা হান্ট ডেস্ক :নাগরিকপঞ্জি বিল সংবিধানকে মেনেই একের পর এক ধাপ কে পার করে আইনে পরিণত হয়। রাষ্ট্রপতি তাতে সই করেন। এক নতুন আইন সংশোধনী হয়।আইন কে ঘিরে একশ্রেণীর মানুষের মধ্যে তৈরি হয় বিক্ষোভ। কিন্তু তাদের বিষয়টি কতটা বোধগম্য হয়েছে তা হয়তো তারা নিজেরাই জানেনা। কারণ এখানে কোথাও লেখা নেই যে মুসলিম সম্প্রদায় কে বিতারিত করা হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে তাহলে তারা কিভাবে ধরে নিল যে তাদেরকে বিতাড়িত করা হবে!
ভারতে শরণার্থী যেমন জরুরি তেমনি অনুপ্রবেশকারীকে তাড়িয়ে দেওয়া ঠিক ততটাই জরুরীএকটা স্বাধীন দেশের ক্ষেত্রে। কারন একটা দেশের ক্ষেত্রে তার জনসংখ্যার পরিমাণ ঠিক রাখাটা সেই দেশে সরকারের দায়িত্ব।কিন্তু বড় বড় দেশ গুলোতে দেখা যায় অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু এখানে পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকার যখন সেই বিলগুলোকে ঠিকমতো করে বাস্তবায়িত করতে পারেনি তখন বারবার করে ভারতে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু বর্তমানে বিজেপি সরকার সেই বিষয়টিকে খুব কড়া হাতে দমন করতে চাইছে। আর সেখানেই বিপত্তি রাজ্যে। এই নিয়ে চলল হাঙ্গা। একের পর এক ট্রেন-বাস টোলপ্লাজা পুড়িয়ে দেবার মতো ঘটনা। কিন্তু এই ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য দায়ী কে? মানুষ হয়তো কিছুটা আন্দাজ করতে পারছে।
কিন্তু এবার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং করেছেন মামলা মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে? অর্জুন সিং বলেন, ‘রাজ্যে রেলের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সাতটি ট্রেন এবং ৩০ টি বাস পুড়িয়ে দিল যারা, তাদের একজন ও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এদিকে দীপাবলির দিন পটকা ফাটানোর জন্য ৭৫০ জন গ্রেফতার হয়েছিলো। আর দেশের সম্পত্তি ক্ষতির জন্য একজনও গ্রেপ্তার হলো না। এর পেছনে মুখ্যমন্ত্রীর উসকানি আছে। তাই এই উসকানিমূলক কাজের শাস্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করব।