CAA এর বিরুদ্ধে গোটা দেশে বিরোধ প্রদর্শন হচ্ছে, আর এই বিরোধ প্রদর্শন চারিদিকে হিংসাত্মক রুপ ধারণ করেছে। জনতার উগ্র প্রদর্শনের কারণে দেশে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র রেলেরই ক্ষতি হয়েছে ১০০ কোটির উপরে। আরেকদিকে, জম্মু কাশ্মীর এই আইনের পক্ষে সমস্ত ধর্মের মানুষেরা মিছিল করলেন।
মিছিলে অংশ নেওয়া মানুষেরা জানান, এই আইন দেশের জনগণের বিরুদ্ধে না। নাগরিকতা আইনের সমর্থনে দেশের অনেক শহরেই মিছিল করা হয়েছে। দেশজুড়ে হাজার হাজার প্রোফেসর এই আইনের সমর্থনে কথা বলেছেন। নাগরিকতা আইনের সমর্থনে দিল্লীর রাজঘাট সমেত অনেক জায়গাতেই মিছিল বের করা হয়।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, নাগরিকতা আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হচ্ছে। অনেক রাজ্যে এই প্রদর্শন হিংসাত্মক রুপ নিয়ে নিয়েছে। বিশেষ করে উত্তর প্রদেশে হিংসাত্মক প্রদর্শনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী দিল্লীতেও এই আইনের বিরুদ্ধে প্রদর্শন হয়। উত্তর প্রদেশে হিংসাত্মক প্রদর্শনের পর ৫ হাজার ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোরখপুরে হিংসা যুক্ত ব্যাক্তিদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এমনকি তাঁদের খোঁজ দিলে দেওয়া হবে পুরস্কারও।
শুক্রবার আইনের বিরুদ্ধে প্রদর্শন হিংসার রুপ নিয়ে নেয়। দিল্লী গেটের পাশে ডিসিপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীরা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি না পাওয়ায় পুলিশের উপর প্রথমে পাথ ছোঁড়ে তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা যখনই জামা মসজিদ থেকে জন্তরমন্তর যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রোড ব্লক করে দেয়।
এরপর বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপর পাথর ছোঁড়া শুরু করে দেয়। উত্তেজিত জনতা সরকার আর নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া শুরু করে। এরপর তাঁরা ব্যারিকেড হটানর জন্য পুলিশের উপর হামলা করে, আর তখনই পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য জল কামান দাগে।