বাংলা হান্ট ডেস্ক : থাইরয়েডের সমস্যা কখন যে কিভাবে শরীরে থাবা বসায় তা আমাদের জানা থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ছোট বয়স থেকেই থাইরয়েডে আক্রান্ত হতে। থাইরয়েড দুটো ভাগ রয়েছে। একটা হাইপো থাইরয়েডিসম, হাইপার থাইরয়েডিসম। আসলে আমাদের শরীরে নির্দিষ্ট মাত্রায় থাইরয়েড রয়েছে। কিন্তু যদি সেই মাত্রা কমে যায় বা বেড়ে যায় তাহলেই বুঝতে হবে থাইরয়েডে আক্রান্ত হয়েছে।
তবে থাইরয়েড শরীরে বাসা বাঁধলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। খনও মোটা হয়ে যাওয়া, কখনও রোগা হয়ে যাওয়া। আবার কখনও দেখা যায় পায়ে হাতে গাঁটে গাঁটে ব্যথা এসব। তবে যাদের থাইরয়েড রয়েছে তারা এমনিতেই সারাজীবন অসুস্থতায় ভুগে থাকেন। তাই তাঁদের অবশযই প্রতিদিন রুটিন মাফিক জীবন চালানো উচিত। সেক্ষেত্রে শরীরের সুস্থতা বজায় থাকে।
তাই থাইরয়েডে আক্রান্ত হলে অবশ্যই এই জিনিসগুলি মেনে চলুন-
. নিয়মিত শরীরচর্চা বা সাঁতার কাটা কিংবা সাইকেল চালানো এগুলি হল থাইরেয়েডের মোক্ষম ওষুধ।
. যাদের থাইরয়েড রয়েছে তাঁরা অবশ্যই খাবারের তালিকায় প্রোটিং সমৃদ্ধ খাবার যেমন চিজ, পনির, ডিম, মুরগির মাংস পরিমিত পরিমাণে খেলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিক মতো কাজ করতে পারবে।
. থাইরয়েড এমনিতেই নির্মূল হয়না। তাই থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে অবশ্যই পাতে রাখতে হবে আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও রাখতে হবে আয়োডিন সমৃদ্ধ এই সব ফলমুল ও খাবার গাজর, কলা, দুধ, স্ট্রবেরি, সামুদ্রিক মাছ, শাকপাতা ও মৌসুমি সবজি।
. যাদের থাইরয়েড রয়েছে তাঁদের অবশ্যই রাতে ঘুমানো প্রযোজন যথেষ্ট। কারণ ঘুম না হলে থাইরয়েডের গ্ল্যান্ডগুলি ঠিক ঠাক কাজ করতে পারে না।
তবে নিয়মিত ওষুধ তো খেতেই হয়। কিন্তু তাসত্ত্বেও এসব মেনে চললে শরীরের সুস্থতা অবসম্ভাবী।