বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নতুন বছরে চাকরিজীবীদের প্রফিডেন্ট ফান্ডে কোপ! কি পরিকল্পনা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার? সূত্রের খবর, আরও এক দফায় ভারতে ইপিএফে বার্ষিক সুদের হার কমতে পারে. সম্ভবত আগামী বছরের ফেব্রুয়ারীতে এই সংক্রান্ত বৈঠক হতে পারে.
কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন বা ইপিএফও অছি পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে. সেই বৈঠকের সিদ্ধান্তের উপর তাকিয়ে রয়েছে দেশের প্রায় সাড়ে ৬ কোটি চাকরিজীবী. এই মুহুর্তে গোটা দেশের মানুষ আর্থিক মন্দার শিকার. তার উপর চাকরি জীবনে নিজের সঞ্চয়তেও কোপ বসতে চলেছে, এ মোটেই সুখবর নয় দেশের চাকুরিজীবীদের জন্য.
গত কয়েক বছর আগের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে সুদের হার ছিল ৮.৮ শতাংশ. ২০১৬-১৭তে সেই হার কমে হয়ে যায় ৮.৬৫ শতাংশ. ২০১৬-১৭ তে সেটি কমে হয় ৮.৫৫ শতাংশ. তবে লোকসভা ভোটের সময় সুদের হার কিছুটা বাড়ানো হয়.বর্তমানে ইপিএফ গ্রাহকরা ৮.৬৫ শতাংশ হারেই সুদ পাচ্ছেন. কিন্তু নতুন বছরে সেই সুদের হারে থাবা বসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে.
প্রসঙ্গত, কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ২০ জনের বেশী কর্মী থাকলে সে ক্ষেত্রে ইপিএফ-এর আওতায় পড়ে যায়. কোনও কর্মীর নূন্যতম বেতন ১৫,০০০ টাকা হলে সেক্ষেত্রে তিনি ইপিএফ-এর মতো সামাজিক সুরক্ষা পান. আর সেই স্বল্প সঞ্চয়তেও কোপ বসাতে চলেছে মোদি সরকার. এই মুহুর্তে গোটা দেশে আর্থিক সঙ্কট চলছে. চারিদিকে মন্দার বাজার. নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে যাবতীয় কিছুর দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে. যেটুকু টাকা একজন কর্মী বেতন পান, সংসার চালিয়ে খুব অল্পই মাসের শেষে অবশিষ্ট থাকে ব্যাঙ্কে. পিএফ এ সঞ্চয়টাও যদি আরও সঙ্কোচন হয় তবে তাঁরা যাবেন কোথায়? মেয়ের বিয়ে হোক কিংবা নিজের বার্ধক্যজীবনে পিএফএ-র টাকা কতটাইবা প্রয়োজন মেটাতে পারবে, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই.