বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার ঝাড়খন্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন. রাঁচির মোহরাবাদী মাঠে আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ভূমিপুত্র হেমন্ত সোরেন. এদিন নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেখা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে. বলা বাহুল্য, তিনিই ছিলেন একরকম অনুষ্ঠানের মধ্যমনি. অনুষ্ঠান যদিও বা ছিল শপথগ্রহণের, কিন্তু নজরে এল বিজেপি-বিরোধী ঐক্যের জোট.
মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খন্ডেও ধরাশায়ী হয়েছে মোদি-অমিত শাহেরা. একটা-দুটো নয় ১২টি আসন কমে গিয়েছে এ বছর তাদের. আর সেই সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা,কংগ্রেসরা জোট সরকার গড়ে ফেলল বিজেপিকে রুখতে. রবিবার দুপুর ২টো নাগাদ শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল. অনুষ্ঠান কিছুটা বিলম্বে শুরু হয়. ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু শপথবাক্য পাঠ করান নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে.
রবিবার বিজেপি বিরোধী ঐক্যের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, অশোক গেহলত, স্ট্যালিন, কমলনাথ, তেজস্বী যাদব, শরদ যাদব সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেতৃরা. এঁদের উপস্থিতিতে শপথগ্রহণের মঞ্চ রবিবার হয়ে উঠেছিল এক অ-বিজেপি দলগুলির জোটের মঞ্চ. যেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি ছিল আরও ইতিবাচক. ভোটের লড়াইয়ে গেরুয়া ঝড়কে রুখে দিয়েছে হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে জেএমএম-কংগ্রেস ও আরজেডি জোট. জামশেদপুর-পূর্বে হেরেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। ২৫টি আসন নিয়েই ক্ষান্ত থাকতে হয়েছে পদ্ম শিবিরকে। সেখানে বিরোধী জোটেদের মধ্যে জেএমএম ৩০টি, কংগ্রেস ১৬টি এবং আরজেডি ১টি আসন পেয়েছে।
দেশজুড়ে নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে আন্দোলন-বিক্ষোভের আবহে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির পতন বিশেষ সাড়া ফেলেছে, এতে কোনও সন্দেহ নেই. সিএএ-র বিরোধী হাওয়া প্রবল হওয়ায় এই মুহুর্তে অ-বিজেপি দলগুলি নিজেদের মধ্যে ঐক্যের ছবি তুলে ধরতে আরও উদ্যোগী হয়ে উঠেছে.