এনআরসি নিয়ে চাপানউতোর চলছে গোটা দেশে। এরই মাঝে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানান,’পাকিস্তানকে যদি ইসলামিক রাষ্ট্র না করা হত, তাহলে এই গন্ডগোল হত না।’ তাঁর বক্তব্যে এদিন এটা পরিষ্কার হয়ে যায় ভারত সরকার নয়া আইন এনেছে পাকিস্তান ইসলামিক রাষ্ট্র বলেই। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।
মুকুল আরও বলেন, “জনগণ কে ভুল বোঝানো হচ্ছে। নাগরিকত্ব আইনে কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নিচ্ছে না।বরং কিছু মানুষকে নাগরিকত্ব দিচ্ছে।” তিনি মানুষকে অহেতুক ভয় পেতে নিষেধ করেন। এদিন তিনি জানান, কর্মীদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি বুথে গিয়ে জনসম্পর্ক তৈরি করতে। মানুষকে কেন্দ্রীয় আইনের সুফল সম্বন্ধে অবহিত করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনা হচ্ছে। এর সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনও সম্পর্ক নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তৃণমূলের এই প্ররোচনায় পা দিতে বারণ করেছেন জনগণকে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কোথাও বলা নেই যে, মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে। যারা বিক্ষোভ করছেন তাদের বেশীরভাগ জন আইনটি পড়েই দেখেননি। নাগরিকত্ব আইন এর সমর্থনে আরও বেশী করে প্রচার করা হবে এবং সমস্ত সামাজিক সংগঠনকে সঙ্গে নেওয়া হবে বলে এদিন দাবি করেন মুকুল রায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় নিজের ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার জন্য এইসব বলছেন। কিন্তু এভাবে বেশীদিন মানুষকে ভুল বোঝানো যাবেনা। এদিন তিনি কংগ্রেসকেও একহাতে নিয়েছেন। স্বাধীনতার প্রাক্কালে ধর্মের ভিত্তিতে ভারতবর্ষকে টুকরো টুকরো করার জন্য জাতীয় কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন।