বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সব সময় যাতে পর্যাপ্ত পরিমান নার্সিং কর্মীদের উপেস্থিত থাকতে হবে। সেজন্য কোনো প্রতিষ্ঠানেরেে ৩০ শতাংশের বেশি নার্সিং কর্মী একসঙ্গে ছুটি নিতে পারবেন না- স্বাস্থ্য দপ্তরের এই নির্দেশে ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্যের নার্স মহলে।
রাজ্যের সরকারি নার্সদের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা বাড়াতে নতুন নির্দেশি্কা জারি করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। নার্স এবং নার্সিং কর্মীদের কাজের দক্ষতা বাড়াতে, রোগী ও তাঁদের পরিবারের প্রতি আরও মানবিক হতে এবং সবসময় ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি নার্সদের ছুটি করা নিয়েও বেশকিছু বিধিনিষেধের পাশাপাশি এই নির্দেশো জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই নির্দেশেই ক্ষোভ জমেছে নার্সদের মনে।
নার্সদের দক্ষতা বাড়াতে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।নার্সরা এই বিধি নিষেধ ঠিকমতো মানছে কিনা তার ওপর নিয়মিত নজরদারি চালাতে সিস্টার ইনচার্জ এবং নার্সিং সুপারদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই রাজ্যে নার্সদের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। দৈনন্দিন বিপুল সংখ্যক রোগীর চাপ সামাল দিতে হয়। এতে নার্সদের শ্রম ও ডেডীকেশনকে অসম্মান করেছে রাজ্য সরকার মনে করছে নার্সদের একাংশ।
কিছুদিন আগেই পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ক্লাস নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।রাজ্যের নতুন পাস-ফেল নীতিতে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বা পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের বিশেষ ক্লাস নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। তাদের নতুন করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করার জন্যই এই বিশেষ ক্লাস নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এই বাড়তি চাপে ক্ষোভ বেড়েছিল শিক্ষামহলে। এবার স্বাস্থ্য মহলেও জমছে ক্ষোভ।