বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দিল্লীর রাজনীতিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal ) তৃতীয় বারের আগমনকে কেন্দ্র করে বহু মন্তব্য শোনা গেছে রাজনৈতিক মহলে। গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিয়ে নিজের জায়গা বজায় রাখতে আবারও তিনি সক্ষম হয়েছেন। এবং এই জয়লাভের পর হনুমান চল্লিশা (hanuman chalisha) পাঠ করে, আরও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এবারে কৈলাস বিজয়বর্গী (Kailash Vijayvargiya) জানিয়েছেন স্কুল, মাদ্রাসাতেও এবার থেকে হনুমান চল্লিশা পাঠ বাধ্যতা মূলক করার হবে।
ভোটের ফলাফলের দিন কেজরিওয়ালের সস্ত্রীক হনুমান মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার ঘটনায় গেরুয়ায় শিবিরের নিন্দার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ভোটে জিতে এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কেজরিওয়াল হনুমান চল্লিশা পাঠ করে সেই নিন্দাকে আরও উস্কে দিলেন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টি দখল করে নিয়েছে আপ। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গী এক ট্যুইটে শুভেচ্ছা বার্তাও জানান তিনি কেজরিওয়ালকে।
এরই মধ্যে তাঁর এই মন্তব্যে বাঁকা রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই। তিনি টুইটে লেখেন,” হনুমানজির কাছে যারা প্রার্থনা করেন, হনুমানজি তাঁদেরকে আশীর্বাদ দেন। সেক্ষেত্রে শিশুরা কেন হনুমানজির আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হবে? তাই যতশীঘ্র সম্ভব মাদ্রাসা-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও হনুমান চালিশা পাঠের বন্দোবস্ত করা দরকার।” তবে এপ্রসঙ্গে এখনও কোন পাল্টা মন্তব্য করেননি স্বয়ং কেজরিওয়াল।
১৬ ফেব্রুয়ারী দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের জন্য শপথ গ্রহণ করবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবার দিন এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে রামলীলা ময়দানে। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবার জন্য শনিবার দিনই দিল্লিগামী বিমানে রওনা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।