করোনার প্রকোপে এবার ১৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে সিএবি।

করোনা ভাইরাসের কারণে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বজুড়ে লকডাউন চলছে, লকডাউনের জেরে এই মুহূর্তে থমকে রয়েছে ভারতও। কিন্তু লকডাউনের অনেক আগে থেকেই ভারতবর্ষে থমকে রয়েছে খেলাধূলা। ভারতে শেষবার ক্রিকেট হয়েছে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচটি, তবে সেটাও বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গিয়েছে। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, এছাড়াও এই মুহূর্তে স্থগিত হয়ে রয়েছে আইপিএল। সব মিলিয়ে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে সিএবি। এবার আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা থেকে মুক্তি পেতে সিএবি কর্তারা ব্যয় সঙ্কোচের পথে হাঁটতে চলেছেন।

ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি ইডেন গার্ডেন্স হওয়ার কথা ছিল এরফলে সেই ম্যাচের জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিল সিএবি কর্মকর্তারা। কিন্তু একেবারে শেষ লগ্নে এসে সেই ম্যাচ বাতিল হয়, এর ফলে সেই ম্যাচে খরচা বাবদ 10 কোটি টাকা লোকসান হয় সিএবির।

180589053901d48f391e123387f2a0393218b4e96d16392e1cabafe287fab940061073b0c 1

এক সিএবি কর্তারা জানিয়েছেন টিকিট বিক্রির টাকা বাদ দিলেও এক একটা ম্যাচ থেকে অর্থাৎ ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে ম্যাচটি যদি হতো তাহলে সেখান থেকে প্রায় চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা লাভ হত সিএবির। মাঠে যে সমস্ত বিজ্ঞাপন গুলিতে হয় সেগুলি থেকে প্রায় চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা, এছাড়া অন্যান্য বিজ্ঞাপন থেকে 50 লক্ষ টাকা আয় হয়। এছাড়াও প্রত্যেক ম্যাচের জন্য বিসিসিআই দেড় কোটি টাকা করে দিয়ে থাকে রাজ্য ক্রীড়া সংস্থা গুলিকে। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে সিরিজ বাতিল হওয়ার কারণে সেই টাকা এখনো পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি সিএবিতে। অপরদিকে এবার আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনাও কমে আসছে ফলে আইপিএল থেকে যে টাকা লাভ হত সেটাও এবার হাতছাড়া হতে চলেছে সিএবির। সব মিলিয়ে এবার বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে সিএবি।

Udayan Biswas

সম্পর্কিত খবর