বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এপ্রিলের মধ্যেও শহরের আবহাওয়ার (Weather) তাপমাত্রার পারদ নিম্নগামী। স্থলভাগে প্রচুর জলীয় বাষ্প তৈরি হওয়ার দরুণ গত দুদিন ধরে প্রবল ঝড় বৃষ্টির পর বুধবার সকাল থেকে সামান্য রোদ বেরোতে দেখা গিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় বজ্রপাতও ঘটতে দেখা গিয়েছিল। তবে আজও তাপমাত্রার কোন উন্নতি হবে না আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর (Weather office)। কয়েকটি জায়গায় ঘটতে পারে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং ভারি বজ্রবিদ্যুতসহ ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরের এবং দক্ষিণের জেলাগুলিতে ৪ দিন টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহবৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে ঝড় হতে পারে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে। আগামী ২-৩ দিন রাতের তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে ভারী বা অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই৷ নেই কোনো নিম্নচাপ বা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে গোটা উত্তর বাংলাতেই। আবার দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলোতে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিমি বেগেও ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাতের তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন হবে না।
গতকাল শহর কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রির আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজ তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নিম্নগামী হয়েছে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বাতাসে জলীয় বাস্প থাকার দরুণ আজ বেশ কিছু জায়গায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বজ্রপাতও ঘটতে পারে।
আবার, মৌসম ভবন জানিয়েছে, এবারে বর্ষা ঢুকবে সঠিক সময়ে। দক্ষিণ -পশিম মোয়সুমি বায়ুর প্রভাবে এবছর বর্ষা জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্ষার আগমন ঘটবে। স্বাভাবিক সময়েই হবে এই বৃষ্টি। এতে করে কৃষি কাজেও খুব একটা সমস্যা সৃষ্টি হবে না। কৃষকদের জন্যও এল সুখবর। এর পাশাপাশি জুনের প্রথমেই কেরালায় বর্ষা প্রবেশ করবে। এবং তারপর তা পানজিম, পুনে ও মুম্বই হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করবে।