লকডাউনের জেরে বিদেশি ফুটবলারদের সাথে চুক্তি ভেঙে এক মাসের বেতন দেয় নি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। এবার ফুটবলারদের বাসস্থান নিয়েও টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে। বিশ্বজুড়ে লকডাউনের জেরে বিশেষ বিমানের সাহায্যে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার এবং কোচ দেশে ফিরে গিয়েছে। কিন্তু নিজের দেশে ফিরে যেতে পারেননি ইস্টবেঙ্গলের দুই ফুটবলার এবং ফিজিক্যাল ট্রেনার। তারা থেকে গিয়েছেন কলকাতা শহরেই।
চুক্তি অনুযায়ী সমস্ত ফুটবলারদের 31 শে মে পর্যন্ত থাকা এবং খাওয়ার দায়িত্ব ছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। এর ফলে সেই চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে 31 শে মে। সেই কারণে যে সমস্ত ফুটবলাররা দেশে ফিরে যেতে পারেননি তাদের পরিস্থিতির কথা না ভেবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে 31 শে মে এর পর তারা যাতে ফ্ল্যাট ছেড়ে দেয়। আর এমন পরিস্থিতিতে ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন ইস্টবেঙ্গলের দুই ফুটবলার জনি একস্তা, কাশেম এবং ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদার।
অপরদিকে মোহনবাগানের অধিকাংশ ফুটবলার দেশে ফিরে গেল এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন ফুটবলার দেশে ফিরে যেতে পারেননি। করোনা ভাইরাসের কারণে তারা থেকে গিয়েছেন কলকাতা শহরে। তবে মোহনবাগানের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যতদিন না পর্যন্ত তারা দেশে ফিরে যেতে পারবেন তাদের থাকা খাওয়ার সমস্ত দায়িত্ব মোহনবাগানের। মোহনবাগান ক্লাবের এক কর্তা জানিয়েছেন মোহনবাগানের ফুটবলারদের দেশে ফিরে যাওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিন্তু বেশ কয়েকজন ফুটবলার এই পরিস্থিতি দেশে ফিরে যেতে পারেননি। তবে তারা যতদিন না পর্যন্ত দেশে ফিরে যাচ্ছেন তাদের সমস্ত দায়িত্ব মোহনবাগান ক্লাবই বহন করবে।