বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এবার মুকেশ আম্বানির জিও তে বিনিয়োগ করল KKR (Kohlberg Kravis Roberts & Co. )। জানা যাচ্ছে ১১,৩৬৭ কোটি টাকা জিও তে বিনিয়োগ করেছে তারা। যা জিও এর মোট সম্পত্তির ২.৩২ শতাংশ। এর আগে এই মাসেই ফেসবুক, বেসরকারী ইক্যুইটি তহবিল সিলভার লেক, ভিস্তা ইক্যুইটি পার্টনার এবং জেনারেল আটলান্টিক এর মত সংস্থাগুলি জিও তে বিনিয়োগ করেছিল। এবার সেই পথেই হাঁটল কেকেআর।
এই লেনদেন জিও প্ল্যাটফর্মকে 4,91 লক্ষ কোটি টাকার ইক্যুইটি মূল্য এবং ৫.১6 লক্ষ কোটি টাকার একটি এন্টারপ্রাইজ মূল্যকে মূল্য বিনিয়োগ করে। এটি কেকেআরের এশিয়ার বৃহত্তম বিনিয়োগ এবং এটি প্ল্যাটফর্মের ২.৩২ শতাংশ ইক্যুইটি শেয়ারের সমান, জানিয়েছে রিলায়েন্স ইণ্ডাষ্ট্রি লিমিটেড। সর্বশেষতম চুক্তি সহ, জিও প্ল্যাটফর্মগুলি পাঁচটি বিনিয়োগের থেকে সম্মিলিত ৭৮,৫৬২ কোটি টাকা পাবে।
2016 সালে জিও চালু হওয়ার পরে, রিলায়েন্স দেশের একমাত্র সংস্থা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে যা দ্রুত বর্ধমান ভারতীয় বাজারে আমেরিকান প্রযুক্তি গ্রুপগুলির সাথে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম। মোবাইল টেলিকম থেকে শুরু করে হোম ব্রডব্যান্ড পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই ই-বাণিজ্য সম্প্রসারিত করেছে রিলায়েন্স।
ভারতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রযুক্তির সাথে যুক্ত করতে জিওমার্টকে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। দেশের ছোট ও মাঝারি দোকান, মুদি, স্টেশনারি দোকান, হকার, ছোট ব্যবসায়ীদের এক ছাতার তলায় আনতে জিওমার্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ মিলে তৈরি হবে নতুন ই-কমার্স মডেল৷। যেখান থেকে অনলাইনেই স্থানীয় দোকান বা বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ডার দেওয়া যাবে। দাম মেটানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই। আর সেই অর্ডার নিয়ে বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেবে জিওমার্ট।
বাজারে আসার পর থেকেই জিও ভারতে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। টেলিকমের পাশাপাশি রিটেল ইন্ডাস্ট্রিতে এলে রিটেল ইন্ডাস্ট্রির প্রতিটি প্রতিযোগী গ্রাহকদের কাছে আরো ভাল পরিষেবা পৌঁছে দিতে চাইবে। যাতে আদতে লাভ হবে গ্রাহকদেরই। যদিও কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন জিও ভারতের বাজারে মনোপলি করবার চেষ্টা করছে।