বাংলাহান্ট ডেস্ক: পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant workers) নিজ রাজ্যে ফেরানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছেন বলি অভিনেতা সোনু সূদ (sonu sood)। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নিজের খরচায় বাস ভাড়া করে তাদের নিজেদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। সবটাই সরকারের অনুমতি নিয়েই তিনি করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। একথা সকলেই জানেন।
জানা গিয়েছে, লকডাউনের মধ্যেই ১০টি বাস ভাড়া করে বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের রাজ্যে ফেরার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন অভিনেতা। মুম্বই থেকে কর্ণাটকে যাবেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা।
সোনুর এই কাজের প্রশংসা করে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (smriti irani)। তিনি লিখেছেন, ‘প্রায় দু দশক ধরে সোনু সূদকে চিনি কাজের সূত্রে। তোমাকে আরও বড় অভিনেতা হয়ে উঠতে দেখেছি। কিন্তু এই কঠিন সময়ে যে মানবিকতা তুমি দেখিয়েছ তার জন্য আমি গর্বিত। ধন্যবাদ ওই অসহায় মানুষগুলোর সাহায্য করার জন্য।’
I’ve had the privilege of knowing you as a professional colleague for over 2 decades now @SonuSood & celebrated your rise as an actor ;but the kindness you have displayed in these challenging times makes me prouder still 🙏thank you for helping those in need🙏🙏 https://t.co/JcpoZRIr8M
— Smriti Z Irani (@smritiirani) May 24, 2020
এর আগে তারকা শেফ বিকাশ খান্নাও প্রশংসা করেন সোনু সূদের। অভিনেতার গ্রাম মোগার নামে নামকরণ করেন তাঁর বানানো একটি খাবারের। সোনুর এই কাজে উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরাও। অভিনেতাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত, ১১ মে থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত ২১টি বাসে করে ৭৫০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে মুম্বই থেকে কর্ণাটক ও উত্তর প্রদেশ পাঠিয়েছেন তিনি। আরও ১০টি বাস বিহার ও উত্তর প্রদেশের জন্য রওয়ানা হয়ে গিয়েছে। অভিনেতা জানান, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ঝাড়খন্ডের সরকারের থেকে অনুমতি মেলা এখনও বাকি আছে। আগামী ১০ দিনে একশোর বেশি বাস মুম্বই থেকে ছাড়বে। পুরো ব্যাপারটাই হচ্ছে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে। ৬০ জনের বসার বাসে ৩৫ জন শ্রমিক যাচ্ছেন।
এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন সোনু ও নীতি। সবটাই নিজেদের অর্থে। ৮০০ কিমি রাস্তার জন্য প্রায় ৬৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তাঁদের। সেখানেই ১৬০০ থেকে ২০০০ কিমি এ খরচ হয়েছে প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি। অভিনেতা জানান, শ্রমিকদের শেষ গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছে বাস। বাসে কোনও শ্রমিককে অনাহারেও থাকতে দিচ্ছেন না সোনু। তাঁর কথায়, যতক্ষণ না সব শ্রমিক নিজেদের বাড়ি পৌঁছাচ্ছেন ততক্ষণ তিনি থামবেন না।