বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা আতঙ্ক মানুষ এখনও ভুলতে পারছে। দেশজুড়ে এখনও চলছে পঞ্চম দফার লকডাউন। এর মধ্যেই বেঙ্গল ইমামস এসোসিয়েশন (Bengal Imams Association) জানিয়েছে, কোভিদ -১৯ এর জেরে যে লকডাউন চলছে তাতে যেন সবাই বাড়িতে থাকে। মসজিদের ভিতরে এখনই প্রার্থনা নয়। বাড়িতেই সবাই যেন প্রার্থনা করেন তারই জানান।
বেঙ্গল ইমামস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বলেছিলেন যে, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে লোকেরা ঘরে বসে প্রার্থনা করছেন এবং তারা একই পদ্ধতি চালিয়ে যান। কোভিড -১৯-এর বর্তমান পরিস্থিতি দেখে সাধারণ মানুষের জন্য মসজিদ খোলার দরকার নেই। “যতক্ষণ না আমরা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে স্পষ্টতা না পাই, মসজিদ খোলার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। হাসপাতালের মতো জরুরি সেবা চালু করা জরুরী। যদি ধর্মীয় স্থানগুলি আরও কিছুদিন বন্ধ থাকে, তবে এটি কারও ক্ষতি করবে না।
২৯ শে মে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) বলেছিলেন যে ১ জুন রাজ্যে সমস্ত ধর্মীয় স্থান খোলা হবে যেখানে কোনও সময় ১০ জনেরও বেশি লোকের অনুমতি দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, এক বিবৃতিতে ইমাম এসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়িতে থেকে নমাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার দরকার নেই। বদলে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের বাড়িতেই নমাজ অদা করতে অনুরোধ করেছেন তাঁরা। ৯ এপ্রিল সবে বরাত পর্যন্ত এই বিধি কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে সংগঠনটির তরফে। সংগঠনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মসজিদের ভিতরে নমাজের আয়োজন করবেন ইমামরা। তবে তাতে সাধারণ মুসলিমের অংশগ্রহণ করার দরকার নেই।
এর আগে গত ১৯ মার্চ মসজিদে নমাজ পড়া কোনও ভাবেই বন্ধ করা যাবে না বলে জাননিয়েছিল ইমামস এসোসিয়েশন। যার জেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাদের। যেখানে সৌদি আরব পর্যন্ত মসজিদে নমাজ স্থগিত করেছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গের ইমামরা কী করে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। পরদিন শুক্রবার কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মসজিদগুলিতে জুম্মার নমাজে প্রচুর মুসলিম জড়ো হন। যা থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।